প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহী ইরান ও পাকিস্তান
(last modified Tue, 12 May 2020 11:49:55 GMT )
মে ১২, ২০২০ ১৭:৪৯ Asia/Dhaka

ইরানে সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে দুদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এ টেলিফোন সংলাপে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ দু'দেশের সীমান্তে সংকট সৃষ্টিতে অভিন্ন শত্রু ও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর প্রচেষ্টা ঠেকানোর জন্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সাক্ষাতে পাকিস্তানের সেনা প্রধানও দু'দেশের সীমান্তে বিরাজমান নানা সংকটের কথা উল্লেখ করেন। ইরান-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতা বন্ধ করতে এ যাবত ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে জেনারেল বাজওয়া বলেন, দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা শক্তিশালী করার মাধ্যমে এ ধরনের অপতৎপরতা নস্যাত করা সম্ভব। একইসঙ্গে তিনি সীমান্তে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ এবং নিরাপত্তা জোরদারের জন্য বিশেষজ্ঞ দলের সফর বিনিময় এবং দ্বিপক্ষীয় সামরিক ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিস্তারের আহ্বান জানান।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিস্তার দুদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ভূ-রাজনৈতিক গত দিক থেকে দুদেশই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। ১৫টি দেশের সঙ্গে ইরানের সীমান্ত রয়েছে এবং এর মধ্যে পাকিস্তানসহ চারটি দেশের সঙ্গে দীর্ঘ সমুদ্র ও স্থল সীমান্ত রয়েছে। ইরানের চবাহার বন্দরের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা বিস্তারের সুযোগ রয়েছে এবং ইরান হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম। তেল, গ্যাস আমদানি ও সীমান্তের মাধ্যমে পন্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে ইরানের ভূমিকা পাকিস্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতা বিস্তারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, আঞ্চলিক অভিন্ন হুমকি মোকাবেলা করা। সীমান্তে মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তার মোকাবেলায় দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা বিস্তারের গুরুত্বকে বাড়িয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসীরা প্রায়ই পাকিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে ইরানে হামলা চালাচ্ছে যা ওই অঞ্চলে এক বেদনাদায়ক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

এ অবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অবশ্যই জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।  পাকিস্তানের সেনা প্রধানের সঙ্গে ইরানে সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরির সাক্ষাতের পর আশা করা হচ্ছে সন্ত্রাসীদের হাতে আটক ইরানের তিনজন নাগরিকের মুক্তির ব্যাপারে পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তারা সহযোগিতা করবেন। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১২

ট্যাগ