ইরানের খোরাসান প্রদেশের বিস্ময়কর 'রংধনু পর্বতমালা'!
মহান আল্লাহর দেয়া অপরিসীম সৌন্দর্যের আধারসমৃদ্ধ একটি দেশ হচ্ছে ইরান। তবে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যে কেবল সবুজ শ্যামলিমা ও হরেক রঙের ফুল দ্বারা শোভিত চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে, তা নয়; বরং রঙিন মাটি ও পাহাড়-পর্বত ইরানের যেকোনো প্রান্তকেই রঙিন করে রেখেছে।
ইরান কোনো সমভূমি নয়; বরং একটি বন্ধুর ভূমি। ইরানের পাহাড়-পর্বতগুলো দক্ষিণ ইউরোপ ও এশিয়ার পাহাড়-পর্বতগুলো সৃষ্টি হওয়ার সম-সময়ে সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশিষ্ট বিজ্ঞানীদের অনুমান। অর্থাৎ এখন থেকে ৫৭ কোটি বছর আগে তৃতীয় ভূতাত্ত্বিক যুগের শেষ দিকে ভূগর্ভস্থ গতিশীলতা ও প্রকম্পনের ফলে এসব পাহাড়-পর্বত তৈরি হয়েছে। তখন পাললিক শিলার ফাঁকে ফাঁকে গ্রানাইট পাথর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল। বফাক, যানজন ও গোলপায়গানে এবং তাবাস ও ইয়াযদের পথে সাদা ও গোলাপি গ্রানাইট পাথর এখনো মাথা উঁচু করে আছে।
ভূমির বন্ধুরতার দৃষ্টান্ত ইরানের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। অনেক জায়গাই দেখা যাবে বিশাল এলাকা জুড়ে সুউচ্চ পর্বতমালা, ঢালু পাদদেশ এবং সঙ্কীর্ণ উপত্যকা ও গিরিপথ, আবার অদূরেই সমভূমি ও মরুময় অঞ্চল। প্রকৃতপক্ষে ইরান ভূখণ্ডের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা পাহাড়-পর্বতে ঢেকে আছে। শত শত কিলোমিটার জুড়ে আলবোর্য পর্বতমালার অবস্থান যেন ইরানের উত্তরাংশে একটি সুউচ্চ দেয়াল তৈরি করে দিয়েছে।
কেবল সুউচ্চ ও দুর্গম গিরিপথ হয়ে তা অতিক্রম করা যেতে পারে। তেমনি জাগ্রোস পর্বতমালায় রয়েছে বহু উঁচু ও সমান্তরাল পাহাড়- যার মাঝে রয়েছে অত্যন্ত নিচু ও খাদসঙ্কুল উপত্যকা ও ঢালু পাদদেশ। এভাবে জাগ্রোস পর্বতমালা ইরানের ভেতরের এলাকাগুলোকে পারস্য উপসাগরের উপকূল থেকে আলাদা করে রেখেছে। কেবল আঁকাবাঁকা উপত্যকাসমূহ এবং লক্ষ লক্ষ বছরে সৃষ্ট পার্বত্য নদীসমূহের মধ্য দিয়েই এসব পাহাড়-পবর্ত অতিক্রম করা যেতে পারে।
আপনি যদি প্রকৃতি ফটোগ্রাফিতে উৎসাহী কিংবা সাধারণ প্রকৃতি প্রেমী হন এবং এমন কোনও বিস্ময়কর জায়গা খুঁজছেন যেখানে ভিন্ন কোনও গ্রহে হাঁটার মতো আনন্দ পাওয়া যাবে তাহলে উত্তর খোসারান প্রদেশের রঙিন অলাদগ পর্বতমালা একটি বিকল্প হতে পারে। রংধনুর রঙে রঙিন হয়ে ওঠা এ পর্বতমালার কিছু ছবি আপলোড করা হলো এই গ্যালারিতে।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন