ইরাকে রাষ্ট্রদূতসহ তিন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল ইরান
(last modified Sat, 24 Oct 2020 10:31:33 GMT )
অক্টোবর ২৪, ২০২০ ১৬:৩১ Asia/Dhaka
  • ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
    ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ইরানে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ব্রিগেডের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার মার্কিন পদক্ষেপ প্রকাশ্য রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের দৃষ্টান্ত। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাগদাদে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ তুলের, উপরাষ্ট্রদূত স্টিভ ফ্যাগিন এবং ইরাকের আরবিল প্রদেশে  নিযুক্ত মার্কিন কনস্যুলার রাব ওয়ালের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো এবং এখন থেকে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা, আগ্রাসন কিংবা মানবাধিকার বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ইরাক সরকারের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গত জানুয়ারিতে ইরাক সফরে গিয়েছিলেন। বাগদাদে পৌঁছানোর পরপরই মার্কিন সন্ত্রাসী সেনারা ড্রোন হামলা চালিয়ে তাকে শহীদ করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি নির্দেশে ওই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। মার্কিন ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার ইরানের রয়েছে এবং এক্ষেত্রে ইরান জাতিসংঘ প্রস্তাবসহ আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে ইরাকের মাটিতে মার্কিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং তা আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশ প্রকাশ্য রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। মূল কথা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যেখানে নিজের স্বার্থ দেখতে পায় সেখানেই প্রয়োজনে সন্ত্রাসী হামলা চালাতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী গত জুনে এক সমাবেশে দেয়া ভাষণে পশ্চিম এশিয়ায় উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ বা আইএস সৃষ্টিতে এবং ইরানবিরোধী সন্ত্রাসী মোনাফেকিন গোষ্ঠীর প্রতি মার্কিন সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জোট গঠনের যে দাবি করছে তা ডাহা মিথ্যা। কারণ তারাই এই সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং যারা সত্যিই আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ওয়াশিংটন।

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা বেড়েছে এবং এ অঞ্চলসহ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খাতিবযাদে যেমনটি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিরোধী কর্মকাণ্ড বিনা জবাবে পার পাবে না।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২৪

ট্যাগ