আগস্ট ১২, ২০২১ ০৭:১৬ Asia/Dhaka
  • ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর টুইটার বার্তা
    ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর টুইটার বার্তা

তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ ও রুশ রাষ্ট্রদূত ইরানের প্রতি অবমাননাকর যে ছবি প্রকাশ করেছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ।

গতকাল (বুধবার) প্রকাশিত ওই ছবির তীব্র নিন্দা জানিয়ে জারিফ এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, “আজ আমি একটি চরম অনুপযুক্ত ছবি দেখলাম। সবাইকে একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আমরা বর্তমানে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে অবস্থান করছি; ১৯৪১ সালের আগস্ট বা ১৯৪৩ সালের ডিসেম্বরে নয়।”

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর টুইটার বার্তায় আরো বলা হয়েছে, “ইরানি জনগণ বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে পরমাণু সমঝোতা বিষয়ক আলোচনায় প্রমাণ করেছে যে, তাদের ভাগ্য আর কখনও বিদেশি শক্তিগুলোর নিয়ন্ত্রণে যাবে না এবং বিদেশি দূতাবাসগুলিও আর ইরানি জনগণের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।”

বুধবার রুশ দূতাবাস তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ ও রুশ রাষ্ট্রদূতের একটি ছবি প্রকাশ করে। ছবিটি তেহরানস্থ রুশ দূতাবাসের সেই স্থানে বসে তোলা হয় যেখানে ১৯৪৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ, মার্কিন ও রুশ সরকার প্রধানরা একসঙ্গে বসে ছবি তুলেছিলেন।

নীচের ছবিতে (বাম দিক থেকে) জোসেফ স্টালিন, ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট ও উইন্সটন চার্চিল; উপরের ছবিতে (বামে) রুশ রাষ্ট্রদূত ও (ডানে) ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত

উইন্সটন চার্চিল, ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট ও জোসেফ স্টালিন রুশ দূতাবাসের করিডোরে পাশাপাশি তিনটি চেয়ারে বসেছিলেন। বুধবার প্রকাশিত ছবিতে চার্চিলের  বসার স্থানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ও স্টালিনের বসার স্থানে রুশ রাষ্ট্রদূতকে বসে থাকতে দেখা যায়। মাঝখানের যে চেয়ারটিতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট বসেছিলেন সেখানে একটি খালি চেয়ার রেখে ছবিটি তোলা হয়।

১৯৪৩ সালের ওই তিন রাষ্ট্রনেতার তেহরান সফর সম্পর্কে সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এক ভাষণে বলেছিলেন, ইসলামি বিপ্লবের আগে ইরানের তাবেদার শাহ সরকার এতটা নতজানু নীতি গ্রহণ করেছিল যে, তেহরানকে কোনোরকম খবর না দিয়েই মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্ট এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইরান সফরে আসেন। তারা ইরানের শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি বরং শাহ তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। সবচেয়ে অবমাননাকর বিষয় ছিল, শাহ কক্ষে প্রবেশ করার পর তিন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের একজনও চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ানোর প্রয়োজন মনে করেননি।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরো বলেন, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের অবস্থার আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান ইরানের সঙ্গে এমন অবমাননাকর আচরণ করার কথা কল্পনাও করতে পারে না।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ