ইসরাইলি প্রতিপক্ষকে বয়কট
স্বর্ণপদকে সম্মানিত ইরানি খেলোয়াড়
সম্প্রতি শেষ হওয়া টোকিও অলিম্পিক আসরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতিপক্ষকে বয়কট করা ইরানি জুডো খেলোয়াড়কে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে ইসরাইলি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে না খেলার সিদ্ধান্ত নেয়ায় ইরানের আরাশ মীর ইসমাইলিকে স্বর্ণ পদক দেয়া হয়। ইরানের ক্রীড়ামন্ত্রীর হাত থেকে তিনি এই পদক গ্রহণ করেন।
অলিম্পিকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অংশ না নিয়ে ইরানি এ খেলোয়াড় মূলত ফিলিস্তিনি ইস্যুর প্রতি সমর্থন দিয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার ইরানের অ্যাথলেটরা আন্তর্জাতিক আসরে ইসরাইলি খেলোয়াড়দের বয়কট করে আসছেন।
অবশ্য, ইসরাইলি প্রতিপক্ষকে বয়কট করার কারণে ইরানকে কিছু সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন ইরানের খেলোয়াড়কে চার বছরের জন্য আন্তর্জাতিক আসরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আরাশ ইসমাইলি ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে ইসরাইলি খেলোয়াড়কে বয়কট করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের শুধুমাত্র ইরানই বয়কট করছে না বরং বিশ্বের আরো বিভিন্ন মুসলিম দেশ একই পথ অনুসরণ করছে। এবারের অলিম্পিকে আলজেরিয়ার জুডো খেলোয়াড় ফেথি নুরাইন ইসরাইলি প্রতিপক্ষকে বয়কট করেছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, অলিম্পিকে জেতার চেয়ে তার কাছে ফিলিস্তিন ইস্যু অনেক বড় ব্যাপার। এরপর তাকে আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/২৬