নতুন ধারাবাহিক 'জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানিদের অবদান' সম্পর্কে মতামত
(last modified Mon, 04 Jul 2022 05:02:03 GMT )
জুলাই ০৪, ২০২২ ১১:০২ Asia/Dhaka
  • নতুন ধারাবাহিক 'জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানিদের অবদান' সম্পর্কে মতামত

প্রিয় মহোদয়, আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। আমি রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের একজন নিয়মিত শ্রোতা। রেডিও তেহরানের বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। তাই ব্যস্ততা ও অসুস্থতার মাঝেও রেডিও তেহরান না শুনে পারি না।

২ জুলাই শনিবার রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগ থেকে নতুন একটি অনুষ্ঠান প্রচার শুরু হয়। অনুষ্ঠানটির নাম ‘জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানিদের অবদান’। গত শনিবারেই ইরান ভ্রমণ প্রচার শেষে বলা হয়েছিল, নতুন একটি ধারাবাহিক শুরু হবে। ইরান ভ্রমণ শেষ হয়ে যাচ্ছে জেনে মনটা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এটি ছিল আমার প্রিয় অনুষ্ঠানের একটি। এছাড়া নতুন অনুষ্ঠান কেমন হবে, সে নিয়েও একটি আশংকাও ছিল।

কিন্তু নতুন ধারাবহিক ‘জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানিদের অবদান’ শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তাই কালবিলম্ব না করে চিঠি লিখতে বসলাম।

রেজওয়ান হোসেন ও আকতার জাহানের সাবলীল উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্বটি দারুণ ভালো লেগেছে। ইউনেস্কোর উদ্যোগে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান দিবস। ইরানে বহু জ্ঞানী ও বিজ্ঞানীর জন্ম হয়েছে। বিজ্ঞানের নানা শাখায় তাদের অবদান রয়েছে। 

মানব সমাজের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদানের কথা কারো অজানা নয়। এ কারণে পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানের প্রতি মানুষের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের টিকে থাকার জন্য এসব বিষয়ের গুরুত্ব রয়েছে।

ইরানের বিজ্ঞান বিষয়ে জানতে হলে পিছনের দিকে তাকাতে হবে। ইরানে প্রাচীন কাল থেকেই জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা চলে আসছে। ইসলাম ধর্মেও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার কথা বলা হযেছে।

ইরান তার বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানে বিশেষ অবদান রেখেছে। বিশ্বের অনেক দেশ ও জাতিতে ইরানি সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

ইরানের একজন বিজ্ঞানী প্রথম ‘এলজাবরা’ শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি নতুন এক গণনা পদ্ধতি ব্যবহার করেন এবং ইউরোপীয় বিজ্ঞানীরা তার গণনা পদ্ধতি অনুসরণ করেন। এছাড়া ইরানের চিকিৎসা বিদ্যা ও গবেষণা বেশ পুরোনো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থাকা একটি হাসপাতালে চিকিৎসা জ্ঞান লাভ করা হতো। আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও সাফল্যের কারণে এ হাসপাতালকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎপত্তিস্থল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে মোহাম্মদ জাকারিয়া রাজি চোখ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তাঁর সাফল্য ঈর্ষণীয়।

অনুষ্ঠান থেকে এসব কথা জেনে চমৎকৃত হচ্ছিলাম। অনুষ্ঠান শুনতে শুনতে ইরান ভ্রমণের দুঃখ ভুলে গেলাম। একটি মুসলিম দেশ, ইরান, শুধু ধর্মীয় রীতিনীতিতেই উন্নত নয়, বরং জ্ঞান-বিজ্ঞানেও উন্নত। আগামী পর্বগুলো থেকে ইরানের বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে আরো জানতে পারব বলেই আশা করি।  

তবে এ বিষয়ে আমার একটি প্রস্তাব আছে। আমি মনে করি, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানিদের অবদান অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে একজন বিজ্ঞানীকে নিয়ে আলোচনা করলে ভালো হয়। একটি পর্বে শুধু একজন মনীষীর জীবন ও কাজ নিয়ে আলোচনা হবে। তাতে শ্রোতাদের বুঝতে সুবিধা হবে বলে মনে করি।  

 

ধন্যবাদান্তে,

মোঃ শাহাদত হোসেন

সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ

গুরুদয়াল সরকারি কলেজ,কিশোরগঞ্জ-২৩০০, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৪

ট্যাগ