'ইসলামের প্রাথমিক যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সূতিকাগার হিসেবে ইরানের খ্যাতি ছিল'
(last modified Sun, 14 Aug 2022 12:57:38 GMT )
আগস্ট ১৪, ২০২২ ১৮:৫৭ Asia/Dhaka
  • 'ইসলামের প্রাথমিক যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সূতিকাগার হিসেবে ইরানের খ্যাতি ছিল'

মহোদয়, আসসালামু আলাইকুম। সকলের প্রতি রইল আমার আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা। আশা ও বিশ্বাস করি আল্লাহপাকের অশেষ মেহেরবানীতে সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন।

রেডিও তেহরানের নতুন ধারাবাহিক অনুষ্ঠান 'জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানিদের অবদান' ভালো লাগছে। আমি ওয়েবসাইট থেকে তিনটি পর্ব শুনলাম। এই অনুষ্ঠান শুনে ইরানি অনেক মনীষী ও বিজ্ঞানীদের জীবনকর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ হচ্ছে।

ইউনেস্কোর উদ্যোগে চলতি ২০২২ সালে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান দিবস। বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে এ দিবস পালনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূনর্ণ ভূমিকা পালন করে বেসিক সায়েন্স বা ‘মৌলিক বিজ্ঞান’। ‘মৌলিক বিজ্ঞান’ প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা কিনা নতুন নতুন আবিষ্কারে সহায়ক।

প্রাচীন ইরান তথা ইসলামের প্রাথমিক যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সূতিকাগার হিসেবে বিশ্বজুড়ে এ দেশটির খ্যাতি ছিল। আজকের যুগে চিকিৎসা শাস্ত্র, গণিত, দর্শন বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব উন্নয়ন আমরা লক্ষ্য করছি তার পেছনে সে সময়কার ইরানি মনীষীদের বিরাট অবদান রয়েছে। রসায়ন ও অ্যালজেবরা শাস্ত্রে ইরানি মনীষীদের অবদান উল্লেখ করার মতো। ইরানের খ্যাতনামা মনীষী মুসা আলখাওয়ারিজমির কথা উল্লেখ করা যায়। যিনি অ্যালগরিদম বা বীজগণিত তথা অ্যালজেবরার জনক ছিলেন। তিনি প্রথম তার একটি বইয়ে এই অ্যালজেবরার নাম উল্লেখ করেন। বইটির নাম হলো ‘আল জাবর ওয়াল মুকাবিলা’।

ধারাবাকিটির তৃতীয় পর্বে জানতে পারলাম- প্রাচীন ইরানের ইলাম সভ্যতা গড়ে উঠেছিল কারুন নদীর অববাহিকায়। নদীটির উৎপত্তি খুজিস্তানের জারদ কুহ পাহাড়ে। ৪৫০ মাইল দীর্ঘ কারুক নদীটি ইরানের একমাত্র নৌ-চলাচলযোগ্য নদী। হিব্রু বাইবেলে এই নদীর নাম ‘গিহন’। যে চারটি নদীর কথা হিব্রু বাইবেলে বর্ণিত হয়েছে তার মধ্যে গিহন বা কারুন ছিল একটি। এছাড়া হিব্রু বাইবেলে ইলাম শব্দটিও রয়েছে। ইলামিয়ারা কথা বলত অ-সেমেটিক ভাষায়। কারুক নদীর অববাহিকায় পরিশ্রমী মানুষ কৃষির উদবৃত্ত খেকে গড়ে তোলে নগর ও ইলাম সভ্যতা। ইলাম সভ্যতার অন্যান্য নগরগুলি হল আওয়ান,সিমাশ,মাডাকটু এবং ডার-উনটাশ। ইলাম সভতায় ‘কিরিরিশা নামে দেবীর কথা জানা যায়। সম্ভবত উর্বরতার দেবী ছিলেন কিরিরিশা। সেখানে অসংখ্য কিরিরিশা দেবীর উপাসনালয় গড়ে উঠেছিল। কালের গ্রাসে সেসব আজ বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া ইলামিয় পানপাত্র পরবর্তীকালে পারস্যের শিল্পরীতিকে প্রভাবিত করেছিল। অনুষ্ঠানটি সবাইকে শোনার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের মতো শেষ করছি।

 

ধন্যবাদান্তে,

মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম মিঞা

গ্রাম: ছোট জামবাড়িয়া, ডাকঘর: বড়গাছীহাট,

উপজেলা: ভোলাহাট, জেলা: চাঁপাই নবাবগঞ্জ, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ