শ্রোতাদের মতামত
'বিজ্ঞানের আবিস্কার ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখা আমার বেশ লাগে'
আসসালামু আলাইকুম। রেডিও তেহরানের 'জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানিদের অবদান' শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয় যে, তা শুনে মনে হয় যেন ইরানের বিজ্ঞানীরা আমার পাশে বসে নিজেদের আবিস্কারগুলো সম্পর্কে বলছেন।
'জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানিদের অবদান' শীর্ষক ধারাবাহিক অনুষ্ঠানের একাধিক পর্বে ইরানের বিখ্যাত মনীষী গিয়াসউদ্দিন জামশিদ কাশানির জীবনী ও তাঁর গবেষণাকর্মের নানা দিক নিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়।
বিজ্ঞানের আবিস্কার ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখা আমার বেশ লাগে। তাইতো অনুষ্ঠানটি থেকে গিয়াসউদ্দিন জামশিদ কাশানির জীবন ও তাঁর গবেষণাকর্মের অজানা বিষয়ে নিজের তথ্য ভাণ্ডারকে পরিপূর্ণ করলাম।
জ্যোতির্বিদ্যায় অনেক উদ্ভাবনের জনক হিসাবে খ্যাত গিয়াসউদ্দিন জামশিদ কাশানি গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান, দ্রাঘিমারেখা ও নিরক্ষরেখার মত গ্রহ-নক্ষত্র বিষয়ক নানাবিধ পরিমাপ নেয়ার জন্য এলাকার পরিমাপক থালা বা তাবাকুল মানাত্বেক্ব নামক একটি বিশেষ যন্ত্র উদ্ভাবন করেছিলেন। তিনি এই যন্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে ব্যাখ্যাস্বরূপ নুজহাল হাদায়েক্ব বা প্রফুল্লতার বাগান নামের একটি বই লেখেছিলেন। তাঁর এক অনন্য কীর্তি ছিল আরবি ভাষায় লেখা সুল্লামুস সামা বা আকাশের সিঁড়ি নামক বই। তার লেখা ফার্সি ভাষায় আরেকটি বিখ্যাত বই মুখতাসার দার এলমে হায়াত। তাঁর লেখা পঞ্জিকা, ত্রিকোনোমিতি, গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যা এবং গ্রহ-নক্ষত্রের নানা নিয়ম নিয়ে ছয় অধ্যায়ের জিজে খ’কানি বা খ কানি’র সারণী বইটিও ছিল বেশ জনপ্রিয়। জামশিদ কাশানি গণিত বিষয়েও কয়েকটি অমর বই রেখে গেছেন।
ধন্যবাদ রেডিও তেহরানকে এমন সুন্দর একটি অনুষ্ঠান উপহার দেয়ায়। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
শুভ কামনায়
মো: হোসাইন মুসা
সভাপতি, আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব নরসিংদী
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।