চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন
রেডিও তেহরানের চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন সম্পর্কে মতামত
প্রিয় মহোদয়, আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের নাম প্রিয়জন। শ্রোতাদের চিঠিপত্রের এ আসরটি শুধু শ্রোতাদের আড্ডা নয়, বরং শ্রোতাদের সাথে রেডিও তেহরানের কর্মকর্তাদের এক মিলনমেলা। ফলে এ মিলনমেলায় অংশ নিতে সকল শ্রোতারা সারা সপ্তাহ ধরে সোমবারের জন্য অপেক্ষায় থাকেন।
আমিও সেই তাদেরই একজন। কবে সোমবার আসবে, কখন প্রিয়জন শুরু হবে, কখন সারা দেশের শ্রোতা বন্ধু ও রেডিও তেহরানের উপস্থাপকদের সাথে মিলিত হব- এ ভাবনাতেই সারা সপ্তাহ পার করে সোমবার রাত হলে একটু স্বস্তি পাই। তবে প্রিয়জন শুরু না হওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি স্বস্তি পাই না, কেননা বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারের কারণে মাঝেমধ্যে প্রিয়জন প্রচার স্থগিত থাকে।
যাই হোক, রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগ থেকে ৬ নভেম্বর, সোমবার ঠিকই প্রিয়জন প্রচারিত হয়েছে। আর অনুষ্ঠান শোনা শুরু হতেই মনটা আনন্দে নেচে উঠেছে। গাজী আবদুর রশিদ, আকতার জাহান ও আশরাফুর রহমান ভাইয়ের উপস্থাপনায় শুরু হয় প্রিয়জন।
অনুষ্ঠানে প্রথম চিঠিটি ছিল কিশোরগঞ্জের শ্রোতা শরিফা আক্তার পান্নার। একসময় তিনি নিয়মিত লিখলেও গত বছরের এক এক্সিডেন্টোর পর আগের মত লিখতে পারেন না। তবে সম্প্রতি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় আবার লিখছেন। আগের মত বেশি বেশি চিঠি না পাঠাতে পারলেও যথাসম্ভব লিখবেন বলেই জানি।
এরপর যথাক্রমে মোঃ মান্নান আলী, মুখলেসুর রহমান, এটিএম আতাউর রহমান রঞ্জু, এসএম নাজিম উদ্দিন, মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, মোবারক হোসেন ফনি-এর চিঠি পড়ে শোনানো হয়। তাদের মতামত পড়ার সাথে সাথে কয়েকজনের চিঠির জবাবও দেয়া হয়।
অতঃপর প্রিয়জনে একজন শ্রোতার সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। তাঁর নাম প্রফেসর ড. নাজমা বেগম। ভূগোল বিষয়ের একজন স্বনামধ্য অধ্যাপক তিনি। এছাড়া কুমিল্লা জেলার নীলকান্ত সরকারি কলেজের অধ্যক্ষও। তাঁর সাক্ষাৎকার আমাদের খুব ভালো লেগেছে। রেডিও তেহরান ও ইরান বিষয়ে তাঁর মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ইরান-বাংলাদেশ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় রেডিও তেহরানের ভূমিকা তিনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। সেজন্য থাঁকে ধন্যবাদ জানাই।
সাক্ষাৎকার শেষে আরো দু'জন শ্রোতার চিঠি পড়া হয়। যথাক্রমে তারা হলেন মোঃ হাফিজুর রহমান ও মোঃ আবদুল হাকিম মিয়া। শ্রোতাবন্ধুদের চিঠি পড়া ছাড়াও বেশ কয়েকজন শ্রোতার চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়। এ থেকে বোঝা যায়, প্রিয়জনে আগের তুলনায় শ্রোতারা বেশি বেশি চিঠি লিখছেন। ভবিষ্যতেও তারা এভাবে লিখে যাবেন, সে প্রত্যাশাই করি।
এক্ষেত্রে একটি প্রস্তাব করতে চাই যে, সম্ভব হলে প্রিয়জন সপ্তাহে দু'দিন প্রচার করা হোক। এটি শ্রোতাদের দীর্ঘদিনের দাবি। এতে আরো অধিক শ্রোতার চিঠি যেমন পড়া সম্ভব হবে, তেমনি শ্রোতারা আরো অধিক চিঠি লিখতেও আগ্রহী হবেন।
ধন্যবাদান্তে,
মোঃ শাহাদত হোসেন
সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ-২৩০০
বাংলাদেশ।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১১