শ্রোতাদের মতামত
রেডিও তেহরানের কথাবার্তা অনুষ্ঠানটি দুই বাংলার শ্রোতাদেরই খুব প্রিয়
মহাশয়, ২০ নভেম্বর রেডিও তেহরানের সান্ধ্য অধিবেশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুনবার পাশাপাশি 'কথাবার্তা' অনুষ্ঠানটি শুনলাম। অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর নির্বাচিত শিরোনাম এবং গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের ওপর বিশেষ আলোকপাত প্রচারিত হয়। ফলে রেডিও তেহরানের শ্রোতাদের কাছে এই অনুষ্ঠানটি দুই বাংলার শ্রোতাদেরই খুব প্রিয়।
বাংলাদেশের শ্রোতারা নিজে দেশের সংবাদপত্র দেখার সুযোগ পেলেও পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্রগুলো সম্পর্কে অজানা থেকে যায়। এই অজানা আর থাকে না এই 'কথাবার্তা' অনুষ্ঠানটির জন্য। অন্যদিকে ভারতের শ্রোতাদেরও বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোর সংবাদ শিরোনাম সম্পর্কে অবহিত হবার দারুণ সুযোগ মিলে।
২০ নভেম্বর দুই বাংলার বিভিন্ন সংবাদের মাঝে পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজারের 'শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হবে পৃথিবীর' শীর্ষক একটি সংবাদ প্রতিবেদন সম্পর্কে আলোকপাত খুবই সময়োপযোগী। আর দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবার জন্য কথাবার্তা অনুষ্ঠানের প্রয়োজক গাজী আব্দুর রশীদ এবং রেডিও তেহরানকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমরা সবাই জানি, এই পৃথিবীর প্রাণ বায়ু অক্সিজেন। আমাদের পৃথিবী গ্রহের বায়ুমণ্ডলের ২১ শতাংশ জুড়ে রয়েছে এই জীবনদায়ী গ্যাস। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা , চিরকাল এমনটা নাকি থাকবে না। এমন একদিন আসবে যেদিন মিথেন গ্যাসের রাজত্বে অক্সিজেনের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেবে। তখন পৃথিবী হাঁটবে পেছন দিকে। আজ থেকে ২৪০ কোটি বছর আগের পরিবেশ ফিরে আসবে এই গ্রহে। আর এই পুরো প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ডি -অক্সিজেনেশন। তবে গবেষকরা আশ্বস্ত করে বলেছেন, এমনটা ঘটতে প্রায় ১০০ কোটি বছর লাগবে। সে যাই হোক, পৃথিবীকে ভালো রাখতে আমাদের সকলকেই উদ্যোগী হতে হবে। মঙ্গোলিয়া সরকার তার দেশে 'এক বিলিয়ন গাছ' লাগাবার মহতি কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এই ধরনের উদ্যোগ বিভিন্ন দেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্রহণ করলে অবশ্যই তার সুফল পাওয়া যাবে।
ভারত এবং বাংলাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রতি ছাত্র-ছাত্রীকে পাঁচটি গাছ লাগানো যদি সিলেবাসের বাধ্যবাধকতায় রাখা হয়, তবে তার ফল সুদূরপ্রসারী হতে পারে। বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে, অক্সিজেনের অভাব পূরণে তথা পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণ এক মহতি উদ্যোগ হতে পারে। সেই সাথে আনন্দবাজারের এই প্রতিবেদনটি 'কথাবার্তা'য় স্থান দিয়ে রেডিও তেহরান যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে তার জন্য রেডিও তেহরানকেকে আরো একবার ধন্যবাদ।
নমস্কারান্তে-
বিধান চন্দ্র সান্যাল
ঢাকা কলোনী, বালুরঘাট
দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৩০