বিশ্ব বেতার দিবসের চিঠি: ‘রেডিও তেহরান থাকবে- হৃদয় থেকে হৃদয়ে’
‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২১’ উপলক্ষে রেডিও তেহরানসহ বহিঃবিশ্বের বেতারের অজস্র শ্রোতা, কলাকুশলী, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তারবিহীন যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো বেতার বা রেডিও। সবচেয়ে প্রাচীন, সহজলভ্য একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে বেতার পৃথিবীর বহুল পরিচিত। ১৯২০ সালে আমেরিকায় সর্বপ্রথম বেতার সম্প্রচার হয়। বর্তমানে সর্বত্রই বিচার প্রযুক্তির ব্যবহার চলছে।
মোবাইল ফোনসহ তারবিহীন যেকোনো যোগাযোগের মূলনীতি হলো বেতার। এমনকি বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ ব্যবহৃত হয় বেতার দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা রেডিও টেলিস্কোপ।
শক্তিশালী গণমাধ্যমের গুরুত্ব অনুধাবন করে ইউনেস্কো ২০১২ সালে প্রথম ‘বিশ্ব বেতার দিবস' পালনের ধারণা দেয়। এরপর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় দিবসটি বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব বেতার দিবস’ হিসেবে পালনের স্বীকৃতি পায়। ২০১২ সাল থেকেই নিয়মিত ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব বেতার দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। এ বছরও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘নতুন বিশ্ব, নতুন বেতার- বিবর্তন, উদ্ভাবন ও সংযোগ’।
প্রবল প্রযুক্তিনির্ভর এই সমাজে বেতার তার জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা ধরে রেখে এগিয়ে চলেছে। সহজ লভ্যতা এবং বহনযোগ্য তার কারণে বিশ্বব্যাপী বেতার সগৌরবে টিকে আছে এবং থাকবে অনন্তকাল। ইন্টারনেট লাইভ স্ট্রিমিং, ফেসবুক ইউটিউব, অডিও-ভিডিও, লাইভ শোনা দেখার সুযোগ থাকায় সব শ্রেণীর শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে আজকের বেতার।
রেডিও তেহরান তার সুন্দর অনুষ্ঠানমালার ডালি নিয়ে শ্রোতাদের সাথে নিয়মিত সংযোগ রক্ষার মধ্য দিয়ে সর্বোপরি শ্রোতাদেরকে আত্মার আত্মীয় ভেবে পথ চলায় বলতে পারি- রেডিও তেহরান আছে, থাকবে ইথারে ইথারে। হৃদয় থেকে হৃদয়ে। বিশ্ব বেতার দিবসে সবার জন্য শুভ কামনা।
ধন্যবাদান্তে
বিধান চন্দ্র সান্যাল
ঢাকা কলোনী, বালুরঘাট, দক্ষিণ রাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।