রেডিও তেহরান আমার কাছে ওষুধের মতো: ডা. সাহানা হাসান
(last modified Wed, 29 Sep 2021 08:04:34 GMT )
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১ ১৪:০৪ Asia/Dhaka
  • রেডিও তেহরান আমার কাছে ওষুধের মতো: ডা. সাহানা হাসান

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক ডা. সাহানা হাসান বলেছেন, ‘রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান আমার খুব ভালো লাগে। বহু বছর ধরে এ বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছি। রেডিও তেহরান আমার কাছে ওষুধের মতো। এ থেকে কার্যত খাবার পাই।’ এভাবেই তিনি রেডিও তেহরানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।  

রেডিও তেহরান : কবে থেকে আপনি রেডিও তেহরান শুনছেন?  

উত্তর : সেই ১৯৮৭ সাল থেকে শুনছি। আমার স্বামী মরহুম ডা. মীর্জা হাসান সাহেব তিনি আরও আগে থেকে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান শুনতেন। তিনি রেডিও তেহরানের খুব ভক্ত ছিলেন। তেহরান শুনতে শুনতে এ পর্যন্ত কত রেডিও যে ভাঙল, গেল- তার ঠিক নেই! এরপরে এল ইন্টারনেটে, ফোনে, কম্পিউটার। আবার ফেসবুকেও এসে গেছে। এখন পার্সটুডে দেখি। ফেসবুকে দেখি। আরও যে কত আল্লাহ্‌পাক সহজ করে দিয়েছেন।’

রেডিও তেহরান : বর্তমানে কীভাবে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান শোনেন?  

উত্তর : এখন ফোনের মাধ্যমে শুনি। ফেসবুকে পার্স টুডে’র খবর দেখি। সকালেও শুনি, আবার রাতে কাজকর্ম শেষে শুনি। যেগুলো আমার খুব ভালো লাগে সেগুলো বার বার শুনি। আমাদের রেডিও বেশিদিন যেত না। আল্লাহ্‌ আমাদের রক্ষা করেছেন। এখন ফোনের মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে। আমি যেখানেই যাই, গাড়িতে থাকি, বাড়িতে থাকি সব সময়ে শুনতে পাই। প্রয়োজনে পরেরদিনেও শুনে থাকি। আমি তো একজন ডাক্তার মানুষ। এমনিতেই ব্যস্ত থাকি। আমার রুটিন মাফিক জীবনযাত্রা। এভাবে আল্লাহ্‌ আমাকে করাচ্ছেন। আল্লাহ্‌ যতদিন হায়াতে দুনিয়াতে রাখবেন ততদিন যেন আমি এ নিয়ে থাকতে পারি। আমার ওটা একটা ওষুধ, যায় আমার শরীরে। ওটাই ওষুধ, খাবার পাই আমি।’

রেডিও তেহরান : রেডিও তেহরান সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাই।

উত্তর : এ বেতারের প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানই খুব ভালো। একটার চেয়ে আরেকটা ভালো বলা যাবে না এরকম। পরিস্থিতি অনুযায়ী, বিশেষকরে পৃথিবী যেভাবে চলছে, কী ছেলে, কী মেয়ে, পরিবার, রাজনৈতিক বিষয়সহ প্রত্যেকটা বিষয় এত সুন্দরভাবে ওনারা গুছিয়ে বলেন, আমার তা খুব ভালো লাগে। আমার ছেলে-মেয়েদেরও খুব ভালো লাগে। যারা ওই খবরগুলো দেয়, শোনায় তাঁদের এত ধৈর্য, কথার এত মিষ্টতা, বোঝানোর এত সুন্দর কৌশল! আমার কাছে খুব ভালো লাগে। অভাবনীয় অনুষ্ঠান। বিভিন্ন জায়গার এত খবর দিচ্ছেন ওঁরা।

রেডিও তেহরান : কোন্‌ কোন্‌ অনুষ্ঠান আপনার ভালো লাগে?

উত্তর : কোরআন তেলাওয়াত থেকে শুরু করে সব অনুষ্ঠানই ভালো লাগে। একজন মুসলিম হয়ে কোরআন তেলাওয়াতের কথা অস্বীকার করা যাবে না। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষা, কিতাব, আল্লাহ্‌র কথা, এটা তো একদমই প্রথম জিনিষ। এটাকে কোনোদিনই ভুলব না। চিঠিপত্রের আসরে কত হিন্দু-মুসলিম ছেলে-মেয়েদের সাক্ষাৎকার দেয়। এগুলো শুনে আরও আপ্লুত হয়ে পড়ি। সারা বিশ্বের মানুষ, সব ভাষার মানুষ যেন এটা শোনে। এভাবে তাঁদের নিজের ছেলে-মেয়ে পরিবারের সবাইকে যেন এ থেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। সব জাতির, সব ধর্মের মানুষ এটা শোনে এজন্য আরও ভালো লাগে।’

রেডিও তেহরান : বিশ্ব সংবাদ আপনার কেমন লাগে?

উত্তর : বিশ্ব সংবাদ খুব ভালো লাগে। বিশ্ব সংবাদে একদম নিখুঁত এবং সত্যি কথা তুলে ধরা হয়। একটাও ভেজাল বা মিথ্যে দেখতে পাইনি। আমি অনেক সংবাদ শুনি কিন্তু এখান থেকে যে খবর পাই তা একেবারে নিখুঁত, নিগূঢ়, সত্যি জিনিষ থাকে। এজন্য সংবাদপত্র পড়লেও আগে রেডিও  তেহরানের খবর শুনে নিই। আর্কাইভ থেকে আমি সকালে শুনি। আবার রাতে শুনি। এটা আমার শুনতেই হবে। আমার ফোন থেকেই সবকিছু শুনে নিই।’

রেডিও তেহরান : কোলকাতা বা ঢাকার সংবাদদাতার পাঠানো খবর আপনার কেমন লাগে?

উত্তর : আমার খুব ভালো লাগে। যেটা আপনারা কোলকাতা বা বাংলাদেশ থেকে খবরগুলো দিচ্ছেন তা একেবারে নিখুঁত এবং সত্যি কথাগুলো বলছেন। এগুলো আমার খুবই ভালো লাগছে।

রেডিও তেহরান : রেডিও তেহরানের কোন্‌ অনুষ্ঠানটি আপনার কাছে সবচেয়ে প্রিয়?  

উত্তর : শিশুদের অনুষ্ঠান রংধনু আসর, খুব ভালো লাগে। একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটাকে খারাপ বলতে পারব না। প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানই খুব সুন্দর। আদর্শ পরিবার, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে সবকিছুই বেশ ভালো লাগে। প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানই আমার খুব ভালো লাগে। একটাও খারাপ লাগে একথা বলতে পারছি না। রেডিও তেহরানে সাম্প্রতিক খবর খুব সুন্দরভাবে পরিবেশন করা হয়।’

ডা. সাহানা হাসান ফোনে পাবজি গেম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এরমধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সব জাতির বাবা-মায়েরা এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন। এটাকে সমাজের বিরাট সমস্যা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।