শ্রোতাদের মতামত
‘রেডিও তেহরান: সত্য প্রকাশ যার একমাত্র লক্ষ্য ও মূলমন্ত্র’
আসসালামু আলাইকুম, চিঠির শুরুতেই প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। আশা করি সকলেই কুশলেই আছেন। আজ রেডিও তেহরান-এর ‘বিশ্বসংবাদ’ নিয়ে একটি সার্বিক মূল্যায়নের প্রয়াস করছি।
গত প্রায় চার দশক ধরে রেডিও তেহরান বাংলা অনুষ্ঠান-এর সাথে আমার ওতপ্রোতভাবে লেগে থাকা, ভালোবাসা ও জীবনঘনিষ্ঠ করে নেবার একটি মাত্র কারণ তাহলো- এ বেতার থেকে প্রচারিত প্রতিদিনের শ্রোতানন্দিত বিশ্বসংবাদ।
বিশ্বের যত বেতারের সংবাদই শুনি না কেন- রেডিও তেহরান-এর বিশ্বসংবাদ না শুনলে মন ভরে না, পেটের ভাত হজম হয় না, সংবাদের সত্য-মিথ্যা যাচাই হয় না। কেননা, অন্যান্য বেতার বিশেষ করে পশ্চিমা মদদপুষ্ট গণমাধ্যম ও হলুদ সাংবাদিকরা কখনো তাদের কায়েমী স্বার্থ বাদ দিয়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরে না- এটা দিনের আলোর মতো সত্য। সে খবর ফিলিস্তিনের হোক আর মধ্যপ্রাচ্যের হোক কিংবা সেটা হোক ভারত অথবা বাংলাদেশের। সব সময় তারা নিজেদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সামনে রেখেই সংবাদ পরিবেশন করেন।
কিন্তু রেডিও তেহরান সাম্রাজ্যবাদী ও উপনিবেশবাদী দালাল মিডিয়াগুলোর সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী গণমাধ্যম। সত্য প্রকাশ ও প্রচার- যার একমাত্র লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও মূলমন্ত্র।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘটিত হওয়া ঘটনাপ্রবাহ সঠিক ও নিরপেক্ষভাবে প্রচার ও তুলে ধরাই হচ্ছে রেডিও তেহরান-এর ব্রত এবং উদ্দেশ্য।
বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দুনিয়ার মুসলমানদের যেসব খবর পশ্চিমা গণমাধ্যম তুলে ধরতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে অথবা ইচ্ছে করেই প্রচার করছে না; সেসব খবর রেডিও তেহরান গুরুত্বের সাথে শ্রোতাদের সামনে অকপটে তুলে ধরে। বিশ্বের নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, মজলুম মানুষের আহাজারি- সেটা হোক না কাশ্মীর কিংবা ফিলিস্তিন অথবা অন্য কোন নির্যাতিত দেশ- তাদের পাশে রেডিও তেহরান অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে পাশে দাঁড়ায়।
তাছাড়া, বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে রেডিও তেহরান সেখানেই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সেই সাথে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ উপমহাদেশের খবরাখবরগুলো গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। খবরের সত্যতা নিরূপনের জন্য প্রতিদিন ভারত ও বাংলাদেশের সংবাদদাতা ঢাকা ও কোলকাতা থেকে মাঠ পর্যায়ের কথাবার্তা ও প্রতিবেদন পাঠাচ্ছে। যা শুনে রেডিও তেহরান-এর বিশ্বসংবাদে আর কোনো সন্দেহের অবকাশ খুঁজে পাচ্ছি না।
সেই জন্য ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইরানের গণমাধ্যম সম্পর্কে বলেছেন- "জাতীয় গণমাধ্যম হচ্ছে- সচেতনতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, বিকৃত ও উসকানির মোকাবেলার প্লাটফর্ম, সৌন্দর্য ও শিল্পের প্রভাব সবার জন্য উপভোগ্য করে তোলার ক্ষেত্র এবং আশা জাগ্রত করার ক্ষেত্র।"
প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের ফলে রেডিও তেহরান প্রতি ঘরে ঘরে পৌছে গিয়েছে বিধায় তাদের বিশ্বসংবাদের জনপ্রিয়তা আর বেড়েছে।
আগামী দিনে রেডিও তেহরানের বিশ্বসংবাদ বিশ্বের সকল গণমাধ্যমের মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান দখল করে নেবে এ বিশ্বাস ও প্রত্যয় আমার রয়েছে।
শেষে আবারও সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আজকের চিঠির সমাপ্তি দিচ্ছি। ধন্যবাদান্তে,
আব্দুস সালাম সিদ্দিক
সভাপতি, সকাল-সন্ধ্যা রেডিও লিসেনার্স ক্লাব,
কান্দুলিয়া, বড়পেটা, আসাম, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।