অক্টোবর ২১, ২০২৩ ১৪:৫৫ Asia/Dhaka

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের জঘন্য অপরাধের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্তি হলো ফিলিস্তিনের সমর্থনে মুসলিম বিশ্বের সরকার ও দেশগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গড়ে ওঠা।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে। গাজার বিরুদ্ধে ‌ইসরাইলি ভয়াবহ হামলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার৮শ'রও বেশি ফিলিস্তিনী শহীদ হয়েছে এবং প্রায় ১২ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। কেবল গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালেই তাদের হামলায় কমপক্ষে ৫শ জন শহীদ হয়েছে। হাসপাতালে হামলা যুদ্ধাপরাধের সুস্পষ্ট উদাহরণ। ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের এখন পর্যন্ত বিভিন্ন রকমের পরিণতি হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিণতিগুলির একটি হলো ফিলিস্তিনের সমর্থনে এবং দখলদার ইসরাইলি অপরাধের নিন্দায় মুসলিম জাতি ও সরকারগুলির মধ্যে ঐকমত্য গঠিত হয়েছে।

মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে সেদেশের জনগণ বিশেষ করে গাজার জনগণের প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করেছে। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে সেদেশের জনগণ ইহুদিবাদী দূতাবাসে আক্রমণ করেছে। ইরাক ও লেবাননসহ বহু মুসলিম দেশের মানুষ আমেরিকার দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং আমেরিকাকে ইসরাইলি অপরাধের অংশীদার করে তাদের নিন্দা জানিয়েছে।

সরকারী পর্যায়েও অধিকাংশ মুসলিম দেশের নেতারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি সৌদি আরবের জেদ্দায় জরুরি বৈঠকে বসেছে। ওই বৈঠকের চূড়ান্ত বিবৃতিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এসবের মধ্যে রয়েছে: গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে বর্বর ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধ অবিলম্বে বন্ধ করা। সমগ্র মুসলিম জাতি ফিলিস্তিনকে তাদের কেন্দ্রিয় ইস্যুতে পরিণত করা এবং গাজায় মানবিক ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন: জেদ্দা বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা আমেরিকা এবং  ইহুদিবাদীদের বর্ণনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। গাজার হাসপাতালে ইসলামি জিহাদ বা হামাস হামলা চালিয়েছে-এই দাবিকে হাস্যকর বলে মনে করেন সবাই।

এইসব প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করছে ফিলিস্তিন ইস্যুটি মুসলিম জাতি কিংবা দেশগুলোর জন্য কেবল একটি প্রান্তিক সমস্যা তো নয়ই বরং এখন এটিই তাদের জন্য সবচে গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেইসঙ্গে থেমে গেছে কোনো কোনো আরব দেশ ও ইহুদিবাদীদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়াও। ফিলিস্তিনের প্রতি সৌদি আরব, মিশর এবং জর্ডানের সমর্থন প্রকাশও অন্যতম প্রাপ্তি। সর্বোপরি ইসরাইলের সঙ্গে গোপন সম্পর্কের চিন্তা থেকেও সরে আসবে অনেকেই।#

পার্সটুডে/এনএম/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ