জুলাই ০১, ২০২০ ২০:০১ Asia/Dhaka

মার্কিন সরকার আবারও ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়েছে। ইরানের ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে ব্যর্থ হয়ে মার্কিন সরকার আবারও ইসলামী এ দেশটির পরমাণু স্থাপনায় হামলার হুমকি দিল

ইরান বিষয়ে মার্কিন সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক বলেছেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোয় হামলার বিষয়টি এখনও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে চাই। ইরান পশ্চিম এশিয়ার স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে এবং চীন ও রাশিয়া যদি এ অঞ্চলে শান্তি চায় তাহলে তেহরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের মার্কিন প্রস্তাবে তাদের সায় দেয়া উচিত।

পরমাণু সমঝোতার আলোকে আগামী ১৮ অক্টোবর ইরানের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।

হুক বলেছেন, মার্কিন সরকার কেবল এ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে; স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতিসংঘের সব নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনার যে প্রক্রিয়া রয়েছে তা আপাতত মার্কিন সরকার ব্যবহার করতে চায় না।

মার্কিন সরকারের প্রতিনিধি গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের একটি খসড়া প্রস্তাব আলোচনার জন্য উত্থাপন করলে চীন ও রাশিয়া তার তীব্র বিরোধিতা করেছে। এমনকি ইউরোপও এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এবং পরমাণু সমঝোতা রক্ষার ওপর জোর দিয়েছে। ইউরোপ মার্কিন মিত্র হওয়া সত্ত্বেও  ইরানের বিরুদ্ধে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতিসংঘের সব নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ব্যবহারেরও বিরোধিতা করেছে।

অতীতে দেখা গেছে মার্কিন সরকার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টিতে ব্যর্থ হলেই হামলার হুমকি দিয়ে থাকে। গত চল্লিশ বছর ধরে ইরান এ ধরনের হুমকির ফাঁকা বুলি অনেক শুনেছে। মার্কিন সরকারের ও তার বেশিরভাগ মিত্রদের সর্বোচ্চ চাপ সত্ত্বেও ইরান তার শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচিসহ কোনো বিষয়েই কখনও নতি স্বীকার করেনি।

ইরান এখন সামরিক ক্ষেত্রে এত বেশি শক্তিশালী যে মার্কিন হামলার হুমকিগুলো দেশটির কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাকেই বিন্দুমাত্র ভাবনায় ফেলে না! ইরান কেবল সামরিক হুমকিরই কঠোর জবাব দিতে সক্ষম তা নয়। মার্কিন মিত্ররা পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন অব্যাহত রাখলে ইরান এই সমঝোতাকেও ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নিয়ে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মত অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নেয়ারও সাহস রাখে।

ইরানের বিরুদ্ধে হঠকারী কোনো সামরিক পদক্ষেপ নিলে ইরানের অত্যন্ত নিখুঁত ও অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র-শক্তি অত্যন্ত কঠোর জবাব দিবে। বিশেষ করে ইহুদিবাদী ইসরাইলসহ এ অঞ্চলের মার্কিন মিত্ররা ইরানের মারাত্মক শাস্তির শিকার হবে। মার্কিন সরকার ও তার মিত্ররা এ বাস্তবতা বুঝেই হঠকারী কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ