ডকুমেন্টারি
বাক-স্বাধীনতার অজুহাতে কুরআন অবমাননা: ব্যর্থতাই যার পরিণাম
বাক-স্বাধীনতার অজুহাত তুলে সম্প্রতি ইউরোপের কয়েকটি দেশে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনে আগুন দেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে ইরান, ইরাক, ইয়েমেন, লেবানন, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিন্দা ও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, সুইডেনে পবিত্র কুরআন অবমাননার মাধ্যমে যে ঔদ্ধত্য দেখানো হয়েছে তা অত্যন্ত তিক্ত ঘটনা যা ষড়যন্ত্রমূলক ও বিপজ্জনক। বিশ্বের সব আলেম এ বিষয়ে একমত যে, এই অপরাধের হোতার সর্বোচ্চ শাস্তি প্রাপ্য।
ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, ইউরোপীয়রা বাক স্বাধীনতার যে দাবি করে এসব ঘটনা তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। তিনি তেহরানে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে বলেন, “ইউরোপীয় দেশগুলো বাক স্বাধীনতার দাবি করলেও তারা পবিত্র কুরআন অবমাননা করার যে অনুমতি দিয়েছে তা নিছক ‘আধুনিক অজ্ঞতা' ছাড়া আর কিছু নয়।”
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, "সুইডেন এবং ডেনমার্কে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। আমরা যেকোনো ঐশী গ্রন্থের অবমাননা তীব্র নিন্দা জানাই।"
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অবমাননার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাকস্বাধীনতার অজুহাত ব্যবহার করা উচিত নয়।”
সালওয়ান মোমিকা নামে সুইডেনে আশ্রয় গ্রহণকারী এক ইরাকি শরণার্থী সুইডিশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সম্প্রতি পবিত্র ঈদুল আজহার দিন স্টকহোমের সবচেয়ে বড় মসজিদের সামনে একবার এবং গত বৃহস্পতিবার ইরাক দূতাবাসের সামনে আরেকবার কুরআন অবমাননার জঘন্য অপকর্ম ঘটায়। দুবারই সুইডেনের পুলিশ তাকে কঠোর নিরাপত্তা প্রদান করে। এছাড়া ডেনমার্কের ইসলাম-বিদ্বেষী গোষ্ঠী ‘দানস্কে প্যাট্রিওটার’ গত শুক্রবার কোপেনহেগেনের ইরাক দূতাবাসের সামনে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের অবমাননা করে। #
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৬