কথাবার্তা; করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, হিন্দু-মহাসভার গো-মূত্র পার্টির আয়োজন
(last modified Thu, 05 Mar 2020 10:03:13 GMT )
মার্চ ০৫, ২০২০ ১৬:০৩ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: আজ ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরা হলো:

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • করোনা নিয়ে উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ-দৈনিক ইত্তেফাক
  • পাপিয়ার ফোনের ভিডিও ডিলিট নিয়ে  যা বললেন তদন্ত কর্মকর্তা-দৈনিক যুগান্তর
  • পিরোজপুরের ঐ ঘটনায় বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল-দৈনিক প্রথম আলো
  • রাজধানীর বাসা থেকে উপসচিবের গলিত লাশ উদ্ধার -দৈনিক সমকাল
  • বিচারক বদলি ইস্যুতে মন্তব্য করতে নারাজ ওবায়দুল কাদের-দৈনিক মানবজমিন
  • করোনা আতঙ্ক-ওয়াশিংটন ও কালিফোর্ণিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:

  • অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, এপ্রিলেই মিশে যাচ্ছে ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • হিংসার মধ্যে হোলি এড়াতে মোদির যুক্তি করোনা-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • দিল্লি সহিংসতা:বাড়িই শুধু পোড়েনি, বিশ্বাসও পুড়েছে সেই আগুনে-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • দিল্লির হিংসায় আখেরে হিন্দুস্তান, ভারতমাতার ক্ষতি হয়েছে’, আগুনে দগ্ধ স্কুলে গিয়ে রাহুলের মন্তব্য-দৈনিক আজকাল

পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমেই বাংলাদেশের কয়েকটি খবরের দিকে নজর দেব।

করোনাভাইরাস:

যাত্রী যাতায়াতের দিক থেকে এখন উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত খবরই বিশেষ গুরুত্বসহ পরিবেশিত হয়েছে বাংলাদেশ ভারতসহসহ বিশ্বমিডিয়ায়। এ সম্পর্কে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান খবর হচ্ছে-উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ ।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একের পর এক ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বাংলাদেশও রয়েছে উচ্চ ঝুঁকিতে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ২৫টি দেশের নাম উল্লেখ করেছে, সেখানে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। এ অবস্থায় বাংলাদেশে প্রতিদিনই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। গতকাল সংস্থাটি জানায়, যাত্রী যাতায়াতের দিক থেকে এখন উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ। 

খবরে আরও বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিন স্তরে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। করোনা সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রতিদিন লিখেছে,-করোনা আতঙ্ক-ওয়াশিংটন ও কালিফোর্ণিয়াতে জরুরি অবস্থা জারি। ইত্তেফাক লিখেছে,যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে পৌঁছেছে।দৈনিক মানবজমিনের খবর-বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি শিক্ষার্থী করোনার কারণে স্কুলে বাইরে।

দলীয়ভাবে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজকে তাৎক্ষণিক বদলির ঘটনাটি আজ সারাদেশে ব্যাপক আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ সম্পর্কে দৈনিক মানবজমিনের শিরোনাম-বিচারক বদলি উস্যুতে মন্তব্য করতে নারাজ ওবায়দুল কাদের।

এখবরে লেখা হয়েছে, বিচারক বদলির বিষয়ে দলীয়ভাবে কোন মন্তব্য করতে চাননি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি গভীরভাবে লক্ষ্য করছি। বিষয়টি সম্পূর্ণ বিচার বিভাগ ও আইন মন্ত্রণালয়ের ।সেতুমন্ত্রী বলেন, আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি হলে তারাই সমাধান করবে। দলীয়ভাবে আমরা কোন মন্তব্য করবো না।

মির্জা ফখরুল বললেন,দেশে কোনো আইনের শাসন নেই

তবে এসম্পর্কে দৈনিক মানবজমিনের খবরে লেখা হয়েছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে জামিন না দিয়ে জেলে পাঠানোর পর পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজকে তাৎক্ষণিক বদলির ঘটনা প্রমাণ করে, দেশে কোনো আইনের শাসন নেই।অন্যদিকে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী বলেছেন,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জজকে স্ট্রান্ড রিলিজ দেয়া হয়।এদিকে বিচারককে তাৎক্ষণিক বদলির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়-বলেছে হাইকোর্ট।সবমিলিয়ে রায়ের পর বিচারক বদলির ঘটনায় তোলপাড় এবং পাল্টাপাল্টি বক্তব্য এসছে বিভিন্ন পর্যায় থেকে।

আর প্রথম আলোতে লেখা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড.শাহদীন মালিক পিরোজপুরের ঐ ঘটনায় বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল।

দুনীর্তি:

দুর্নীতি বিষয়ক খবরে দৈনিক ইত্তেফাকের একটি খবরের শিরোনাম এরকম-ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে রাজস্ব আদায়ে ধস নামলেও  কর্মকর্তারা কোটিপোতি। এখবরে লেখা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত গৃহকর ও বাজার সালামি, যে আয় দিয়ে সিটি করপোরেশন তাদের নিজস্ব ব্যয় মেটায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বাজেট ধরা হলেও এ খাতে রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান, শুধু লোকদেখানো বাজেট দেওয়া হয় রাজস্ব খাতে। কর্মকর্তারা এর মাধ্যমে অনেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় হয় না। এভাবেই বছরের পর বছর টাকা ঠিকমতো আদায় না হলেও কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না সংস্থাটি।

আর  দৈনিক যুগান্তরের একটি খবরের শিরোনাম এরকম- অর্থ পাচার বাড়ছেই-জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন। এ খবরে লেখা হয়েছে, এবারও দেশ থেকে অস্বাভাবিক হারে টাকা পাচারের তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই)। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা করে গত সাত বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার ২৭০ কোটি ডলারের সমমূল্যের প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বলা প্রয়োজন, টাকার এ অঙ্ক দেশের চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) জাতীয় বাজেটের প্রায় সমান।

এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি।

করোনা সম্পর্কে  আনন্দবাজারের কয়েকটি শিরোনাম তুলে ধরছি।ছড়াচ্ছে করোনা, হায়দ্রাবাদে অমিত শাহ’র সভা বাতিল।করোনা নিয়ে উদ্বেগ পশ্চিমবঙ্গেও।

গোমূত্র পার্টি’র আয়োজন করতে যাচ্ছে হিন্দু মহাসভা !

তবে দৈনিকটির একটি খবরে লেখা হয়েছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ঠেকাতে ভারতে বিশাল দিল্লিতে ‘গোমূত্র পার্টি’র আয়োজন করতে যাচ্ছে হিন্দু মহাসভা !টি পার্টি’র অনুকরণে এই ‘গোমূত্র পার্টি’র গোবর দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পদ ও গোমূত্র।খবরটিতে আরও লেখা হয়েছে, সারা বিশ্বে যে মারণ ভাইরাসের থাবা আটকাতে প্রতিষেধক তৈরির জন্য রাত-দিন এক করে ফেলছেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা, সেখানে হিন্দু মহাসভার দাবি– করোনা রুখতে একমাত্র ‘মহৌষধি’ গোমূত্র ও গোবর। মহাসভার সভাপতি চক্রপানি মহারাজ জানিয়েছেন, দিল্লিতে যাতে করোনার প্রকোপ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্যই এই ‘গোমূত্র পার্টি’র আয়োজন। তিনি বলেন, যেমন আমরা চা-চক্রের আয়োজন করি, তেমনই গোমূত্র পার্টির আয়োজন করছি। সেখানে করোনাভাইরাস কী এবং কীভাবে গরু থেকে প্রাপ্ত জিনিসপত্র খেয়েই এই ভাইরাসমুক্ত থাকা যায়— সেসব নিয়ে সচেতনতার প্রচার করা হবে।

মহাসভার সভাপতি বলেন, এমন কাউন্টার থাকবে, যেখান থেকে পার্টিতে আসা লোকজনকে গোমূত্র খাওয়ার জন্য দেয়া হবে। পাশাপাশি আমরা গোবরের কেক বা ঘুঁটে, গোবর দিয়ে তৈরি আগরবাতিও রাখব। এগুলো খেলে বা ব্যবহার করলে ভাইরাস (করোনা) সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবে।

দিল্লির হিংসায় আখেরে হিন্দুস্তান, ভারতমাতার ক্ষতি হয়েছে’, আগুনে দগ্ধ স্কুলে গিয়ে রাহুলের মন্তব্য-দৈনিক আজকাল

দিল্লি সহিংসতা

এ খবরে লেখা হয়েছে, দিল্লির হিংসায় হিন্দুস্তান, ভারতমাতার ক্ষতি হয়েছে। ফের দিল্লি হিংসা নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। গত সপ্তাহের রাজধানীতে সংঘর্ষের কারণে ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে হিংসা রুখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও তার দিল্লি পুলিশ। এই পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন রাহুল। বুধবার কংগ্রেস প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উত্তর–পূর্ব দিল্লির হিংসাবিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেন। হিংসার সময় ব্রিজপুরী অঞ্চলে একটি স্কুলে ভাঙচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই স্কুল পরিদর্শনের পর রাহুল বলেন, ‘এই স্কুলটি ভারতের ভবিষ্যৎ। ঘৃণা ও হিংসা এটিকে শেষ করে দিয়েছে। এতে কারও লাভ হয়নি। উন্নয়নের প্রতিপক্ষ হল ঘৃণা ও হিংসা। এটা হিন্দুস্তান ও ভারত মাতার ক্ষতি। সারা বিশ্বে আমাদের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’দিল্লিতে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া অঞ্চলগুলি পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলি দিল্লির হিংসা নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে সরব। দিল্লিসহিংসতা নিয়ে আনন্দবাজারের অন্য একটি খবরের শিরোনাম খুব হৃদয় ছুঁয়ে যায়। সেখানে বলা হয়েছে, দিল্লি সহিসংতা শুধু বাড়ি পোড়েনি; বিশ্বাসও পুড়েছে  সেই আগুনে।

আদালতই যে শেষ ভরসার; গণতন্ত্রের বিপদে মানুষ আজও বিচার বিভাগের মুখ চেয়ে থাকেন: দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের সম্পদকীয়তে ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিচার বিভাগের অবস্থানের চিত্র ফুটে উঠেছে।সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, নতুন বছরটা বেশ আশা জাগিয়েই শুরু হয়েছিল। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের ঘটনা। শীতের ছুটির পরে সবে সুপ্রিম কোর্ট খুলেছে। গত বছরের অগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর থেকেই কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ। লাগাতার ১৪৪ ধারা চলছে। তার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ মামলা জমা পড়েছিল আদালতে। সব শুনে কেন্দ্রীয় সরকার ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে তোপ দাগলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। বললেন, যথেচ্ছ ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বাক্‌স্বাধীনতা, ইন্টারনেট ব্যবহার, স্বাধীন ভাবে চলাফেরার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায় না।

এ দেশের মানুষের মনে সুপ্রিম কোর্ট এখনও সব কিছুর ঊর্ধ্বে। সংবিধানে রাষ্ট্রের ভাবনা বা নাগরিকদের মৌলিক অধিকারে কোনও আঘাত এলেই দেশের আমজনতা আদালতের মুখের দিকে তাকায়। বিশ্বাস করে, সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টই শেষ প্রহরী— দেশের নির্বাচিত সরকার আমজনতার সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করলে আদালতই নাগরিক অধিকারের পক্ষে দাঁড়াবে।

সেই কারণেই নির্বাচিত সরকার ও বিচারবিভাগের মধ্যে দুর্ভেদ্য প্রাচীর থাকা প্রয়োজন। সেই প্রাচীর যথেষ্ট দুর্ভেদ্য আছে তো? সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি থেকে প্রবীণ বিচারপতিরা কেউ কেউ এমন একটা প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্নের একটি কারণ, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের তৃতীয় প্রবীণতম বিচারপতির মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা।

অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, এপ্রিলেই মিশে যাচ্ছে ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে, গত আগস্টেই ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক মিশিয়ে চারটি বড় ব‌্যাংক গঠনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হল। নতুন চারটি ব‌্যাংক ১ এপ্রিল থেকে চালু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব‌্যাংকের সঙ্গে মিশে যাবে ওরিয়েন্টাল ব‌্যাংক অফ কমার্স এবং ইউনাইটেড ব‌্যাংক অফ ইন্ডিয়া। অন্যদিকে, কানাড়া ব‌্যাংকের সঙ্গে মিশবে সিন্ডিকেট ব‌্যাংক। ইউনিয়ন ব‌্যাংকের সঙ্গে অন্ধ্র ব‌্যাংক ও কর্পোরেশন ব‌্যাংক মিশে যাবে। এবং ইন্ডিয়ান ব‌্যাংক ও এলাহাবাদ ব‌্যাংক মিশে এক হবে।

ব‌্যাংকগুলির পরিচালন ব্যবস্থা আলাদা। গত বছর আগস্টে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দেশের মুষড়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কুড়ির বেশি টোটকা দিয়েছিলেন। সেদিনই বলেছিলেন, আগামীতে আরও চমক আসছে।এই ব‌্যাংক সংযুক্তিকরণের ফলে ২৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব‌্যাংক কমে হবে ১২টি। কেন্দ্রের ব‌্যাখ‌্যা, বৃদ্ধির হার বাড়াতে দেশের প্রয়োজন বৃহৎ ব‌্যাংক। সেই কারণেই ব‌্যাংক সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত।  অবশ‌্য, আগেই ব‌্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নগুলি এই সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদ করেছে। তারা কর্মী সঙ্কোচনের আশঙ্কা করছে। তবে অর্থমন্ত্রকের দাবি, ব‌্যাংক সংযুক্তিকরণের জন্য একজনেরও চাকরি যাবে না। #

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৫
 

ট্যাগ