হুদাইদা শহরে ১০ বন্দীকে হত্যা
ইয়েমেন বলছে সৌদি ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা যুদ্ধাপরাধ করেছে
ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হুদাইদা শহরে সৌদি সমর্থিত তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে ১০ বন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নিন্দা জানিয়েছে ইয়েমেনের স্যালভেশন সরকার।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় ক্ষোভ এবং নিন্দা প্রকাশ করে বলেছে, বন্দীদেরকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করে সৌদি সমর্থিত গেরিলা গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ করেছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
১৯৪৯ সালে গৃহীত জেনেভা কনভেনশনে বন্দীদের ওপর হত্যা ও নির্যাতন চালানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং তাদেরকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কথা বলা হয়েছে।
ইয়েমেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট এবং তাদের ভাড়াটে তাকফিরি সন্ত্রাসীরা ব্যাপকভাবে ইয়েমেনের সেনা ও জনপ্রিয় হুথি আসারুল্লাহ আন্দোলনের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অঙ্গহানি এবং গোপন বন্দীশালায় অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বন্দী রেখে ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, ইয়েমেনের জাতীয় সংসদ এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সমাজের নিরবতার চরম নিন্দা করেছে। ইরানের জাতীয় সংসদ বলেছে, হুদাইদা শহরে বন্দী হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মধ্যদিয়ে সৌদি জোট এবং তাদের মিত্র সন্ত্রাসীদের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। যেসব বন্দীকে হত্যা করেছে তাদের লাশ ফেরত দেয়ার জন্য সৌদি আরবের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইয়েমেনি সংসদ।
অন্যদিকে, ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের রাজনীতিক ব্যুরো এই বন্দী হত্যার ঘটনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে উল্লেখ করেছে। সংগঠনটি বলেছে- হৃদয়হীন ব্যক্তিদের পক্ষে শুধুমাত্র এই ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা সম্ভব।#
পার্সটুডে/এসআইবি/১৬