সম্পর্ক ছিন্নের পর প্রথমবারের মতো কাতার ও আমিরাতি নেতাদের বৈঠক
-
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান বৈঠক করেছেন। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর এবং বাহরাইনের সঙ্গে কাতারের দ্বন্দ্ব অবসানের পর এই প্রথম আমিরাতের কার্যত শাসক যুবরাজ জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে শেখ তামিমের বৈঠক হলো।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক-২০২২’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই নেতা চীন সফরে যান। অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া রাষ্ট্রীয় অতিথিদের সম্মানে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শনিবার মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। ওই ভোজসভার অবকাশে কাতারি আমির এবং আরব আমিরাতের যুবরাজ বৈঠক করেন। বৈঠকের খবর কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের গণমাধ্যমগুলোতে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
২০১৭ সালের জুন মাসে কাতারের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিশর। দীর্ঘ চার বছর পর ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এই চার দেশ কাতারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মিটমাট করতে সম্মত হয় তবে এখনো আরব আমিরাত দোহার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে নি। অবশ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে আমিরাতি যুবরাজের ভাই ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনুন বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান কাতার সফর করেন এবং দেশটির আমির শেখ তামিমের সঙ্গে বৈঠক করেন। অন্যদিকে, সৌদি আরব এবং মিশর গত বছর কাতারে তাদের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এবং তুরস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখাসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলোর প্রতি সমর্থন দেয়ার অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করে চার আরব দেশ। পাশাপাশি এই চার দেশ কাতারের ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে।
মজার ব্যাপার হলো- যে ইরান এবং তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কারণে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল সেই দুটি দেশের সঙ্গে বর্তমানে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করছে আরব আমিরাত।#
পার্সটুডে/এসআইবি/৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।