হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করল অস্ট্রেলিয়া; ফিলিস্তিনিদের কঠোর প্রতিবাদ
অস্ট্রেলিয়ার সরকার ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলো।
ফিলিস্তিনের ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের প্রভাবশালী নেতা খালিদ আল বাতাশ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কার্যত ইহুদিবাদীদের আগ্রাসনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এটি পুরোপুরি অন্যায়। তিনি আরও বলেন, এ পদক্ষেপ ইসরাইলের অন্যায় তৎপরতা বিশেষকরে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনে দখলদারদের ঔদ্ধত্য আরও বাড়িয়ে তুলবে।
ফিলিস্তিননের গণপ্রতিরোধ কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, অস্ট্রেলিয়ার সরকার ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের উচিৎ ছিল ইহুদিবাদী ইসরাইলের অন্যায় তৎপরতা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া। কিন্তু তারা উল্টো কাজটি করেছে।
দ্যা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ফর দ্যা লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন বা ডিএফএলপি বলেছে, হামাসকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করার অর্থ হচ্ছে দখলদারদের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ চালানোকে ন্যায্য হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারেন অ্যান্ড্রুস বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, তারা হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এর আগে ২০০৩ সালে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল অস্ট্রেলিয়ার সরকার, এবার পুরো দলকেই সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করা হলো। সংবাদ সম্মেলনে ক্যারেন অ্যান্ড্রুজ জানান, আগামী এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এর আগেই অস্ট্রেলীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে হামাস। দলটির মুখপাত্র হাজেম কাসেম এ পদক্ষেপকে ইসরাইলের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অন্ধ সমর্থনের স্পষ্ট প্রমাণ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধে বর্তমানে যেসব আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে-অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপ সেসবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তিনি বলেন, হামাসকে নয় বরং ইসরাইলকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করা উচিত ছিল অস্ট্রেলিয়ার, যারা আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনে তাদের সীমানা বাড়াচ্ছে এবং ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে।#
পার্সটুডে/এসএ/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।