শিরিন আবু-আকলেহ’র লাশকেও সহ্য করতে রাজি নয় ইহুদিবাদীরা
সীমাহীন বর্বরতা: এবার শিরিনের শবযাত্রায় হামলা চালাল ইসরাইলিরা
ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শিরিন আবু-আকলেহ’র দাফন অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ বাহিনী। খ্রিস্টান ও মুসলিম নির্বিশেষে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শুক্রবার যখন পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাসের (পূর্ব জেরুজালেম) একটি হাসপাতাল থেকে শিরিনের লাশ বহনকারী কফিন নিয়ে বের হন তখন ইসরাইলি পুলিশ সেখানে হানা দেয়।
তারা সেখানে শোকাহত জনতার ওপর টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ইসরাইলি বাহিনীর এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জে এক পর্যায়ে শিরিনের কফিন মাটিতে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।এ সময় ঘোড়সওয়ার ইসরাইলি সেনারা সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। হামলায় বহু শোকার্ত ফিলিস্তিনি আহত হন।
গত ১১ মে সকালে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি সেনাদের আগ্রাসনের খবর প্রচার করতে গিয়ে ইহুদিবাদী সেনাদের গুলিতে নিহত হন কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু-আকলেহ। তাকে কাছে থেকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হামলায় আরেক ফিলিস্তিনি আহত হন যার চিকিৎসা চলছে।
ইসরাইলি পুলিশের হামলা সত্ত্বেও শত শত ফিলিস্তিনি শিরিন আবু-আকলেহ’র কফিন বায়তুল মুকাদ্দাসের পুরনো অংশে খ্রিস্টানদের কবরস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হন এবং সেখানে তাকে দাফন করা হয়।এ সময় শিরিনের সম্মানে বায়তুল মুকাদ্দাসের সবগুলো গির্জা থেকে একসঙ্গে ঘণ্টা বাজানো হয়।
১৯৭১ সালে পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাসের একটি খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শিরিন গত দুই দশক ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের দমনপীড়নের খবর প্রচার করে আসছিলেন। তিনি ইহুদিবাদীদের জবরদখল থেকে ফিলিস্তিনের মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন এবং মাতৃভূমি মুক্তির আন্দোলনে যোগ দিতে সাংবাদিকতার পেশা বেছে নিয়েছিলেন। কোটি কোটি ফিলিস্তিনি ও আরব নাগরিকদের কাছে তিনি অতি পরিচিত ও প্রিয় মুখ ছিলেন।#
পার্সটুডে/এমএমআই/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।