ইসরাইলের বিরুদ্ধে ৩৩ দিনের যুদ্ধে
জেনারেল সোলাইমানি না থাকলে বিজয় সম্ভব ছিল না: সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ
২০০৬ সালে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ৩৩ দিনব্যাপী যুদ্ধে ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানির ভূমিকার প্রশংসা করেছেন এই সংগঠনের মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি শুক্রবার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক টক-শোতে অংশ নিয়ে ৩৩ দিনের যুদ্ধে জেনারেল সোলাইমানির অবদান সম্পর্কে অজানা তথ্য তুলে ধরেন।
২০০৬ সালের ১২ জুলাই ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহকে ‘চিরতরে ধ্বংস’ করে দেয়ার লক্ষ্যে দক্ষিণ লেবাননে আগ্রাসন চালায়। কিন্তু তারা হিজবুল্লাহর টানা ৩৩ দিনের প্রতিরোধের মুখে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আগস্ট মাসের ১৪ তারিখ দক্ষিণ লেবানন থেকে পালিয়ে যায়। ফলে হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে এক নজিরবিহীন ও বীরোচিত জয় ঘরে তোলে।
সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ এ সম্পর্কে বলেন, হিজবুল্লাহর প্রতিরোধের মুখে ২০০০ সালে ইহুদিবাদী ইসরাইল দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, ওই বছরই জেনারেল সোলাইমানিসহ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ইরানি কর্মকর্তার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল তার এই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এবং হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করতে অবশ্যই দক্ষিণ লেবাননে পাল্টা হামলা চালাবে।
সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ জানান, জেনারেল সোলাইমানির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে তিনি হিজবুল্লাহর অবকাঠামো শক্তিশালী করা এবং সমরাস্ত্রের আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। সব শোনার পর জেনারেল সোলাইমানি ব্যক্তিগতভাবে হিজবুল্লাহকে শক্তিশালী করার বিষয়টি তদারকির দায়িত্ব নেন। বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা না দিয়ে হিজবুল্লাহর মহাসচিব বলেন, জেনারেল সোলাইমানি না থাকলে তার দাবিগুলো পরিকল্পনা আকারেই থেকে যেত; বাস্তবায়িত হতো না।
সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেন, জেনারেল সোলাইমানির তত্ত্বাবধানে হিজবুল্লাহর আত্মরক্ষা ব্যুহ শক্তিশালী হওয়ার পর ২০০৬ সালে ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালায় এবং ওই যুদ্ধে জেনারেল সোলাইমানির প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনায় হিজবুল্লাহ বিজয় লাভ করে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/১৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।