মার্কিন মদদে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি অপরাধ যজ্ঞের নতুন নথি প্রকাশ
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i117380-মার্কিন_মদদে_ফিলিস্তিনিদের_ওপর_ইসরাইলি_অপরাধ_যজ্ঞের_নতুন_নথি_প্রকাশ
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর অপরাধের নতুন নথি প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদে ওই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ডিসেম্বর ১৯, ২০২২ ১৩:৩১ Asia/Dhaka

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর অপরাধের নতুন নথি প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদে ওই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদীদের বহু অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে শিশু নির্যাতন, কারাবন্দী নির্যাতন, ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা এবং চেকপোস্টগুলোতে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর সঙ্গে কঠোর আচরণ। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখযোগ্য।

প্রথমত; এসব অপরাধের প্রমাণপঞ্জি দখলদার ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া। যার ফলে এগুলো প্রামাণ্য দলিল। দ্বিতীয়ত; গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে গুরুত্বের সাথে বলা হয়েছে আমেরিকাও এসব অপরাধের ক্ষেত্রে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অংশীদার। কারণ হলো  ওয়াশিংটন সরকার ফিলিস্তিনে দখলদার সেনাবাহিনীর অপরাধযজ্ঞে আর্থিক সহায়তা দেয়। কিন্তু  গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে মার্কিন রাজনৈতিক সমর্থনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয় নি। বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৩৩৪ নম্বর প্রস্তাবসহ এই সংস্থার রীতিনীতি লঙ্ঘন এবং ইসরাইলের প্রতিরক্ষায় সংস্থাগুলোর নেতিবাচক রায়ের কথাও উল্লেখ করা হয় নি। ইহুদিবাদী ইসরাইলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় শক্তিগুলো যদি সর্বাত্মক মদদ না দিতো তাহলে এত সহজে তেলআবিব ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার অপরাধযজ্ঞ চালাতে পারতো না।  ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের ব্যাপারে নীরবতা ভঙ্গের ক্ষেত্রে গার্ডিয়ানের এই প্রতিবেদন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। তবে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের যেটুকু চিত্র দেখানো হয়েছে প্রকৃত অপরাধের তুলনায় তা একেবারেই সামান্য।

এর আগেও মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে। ওইসব সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছিল। কিন্তু আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতা এবং ইউরোপে ইহুদি লবির প্রভাবের কারণে ইসরাইল আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিচার কিংবা শাস্তি থেকে নিরাপদ রয়েছে।

বিগত ১৬ বছরে বিশ্বের বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগার গাজার জনগণ যেরকম দুর্ভোগ ও যন্ত্রণা ভোগ করে আসছে তা গার্ডিয়ান কিংবা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা অপরাধের চেয়েও বেশি। তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।#

পার্সটুডে/এনএম/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।