নিহতদের মধ্যে সাতজন সেনা
সিরিয়ার হোমস প্রদেশে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের হামলা; নিহত অন্তত ৫৩
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় হোমস প্রদেশে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছে। হোমস শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মরু শহর আল-সোখনার কাছে সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে।
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় হোমস প্রদেশে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছে। হোমস শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মরু শহর আল-সোখনার কাছে সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, নিহত ৪৬ জন বেসামরিক নাগরিক এবং সাত জন সেনা। পালমিরা ন্যাশনাল হসপিটালের পরিচালক ডক্টর ওয়ালিদ ওদেহ জানান, দায়েশের হামলার পর মৃতদেহগুলো হাসপাতাল আনা হয়। ব্রিটেনভিত্তিক কথিত মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে চড়ে এই হামলা চালায়। হামলার শিকার ব্যক্তিরা তখন মাশরুম কুড়াচ্ছিল।
গত বছরের জানুয়ারি মাসে হাসাকা শহরের একটি কারাগারে হামলার পর এটি হলো সিরিয়ায় দায়েশের সবচেয়ে বড় হামলা। ২০১৪ সালে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ সিরিয়ায় বর্বরতা শুরু করে। আমেরিকা দায়েশ-বিরোধী লড়াইয়ের নামে সিরিয়ায় ব্যাপকভাবে বিমান হামলা চালালেও সন্ত্রাসীদের প্রকৃতপক্ষে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পরে রাশিয়া, সিরিয়া এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা মিলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে।
এতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সামরিক উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করে এবং ২০১৭ সালের দিকে সিরিয়া প্রায় পুরোপুরি দায়েশ-মুক্ত হয়। তবে দায়েশের অনেক সদস্য এবং কমান্ডারকে মার্কিন সেনারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে তারাই মাঝেমধ্যে সিরিয়ায় আকস্মিকভাবে হামলা চালাচ্ছে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।