‘পাশ্চাত্যের উদ্দেশ্য গোটা বিশ্বকে তাবেদার করে রাখা’
পশ্চিমা দেশগুলো গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিপন্থি কাজ করে: বাশার আসাদ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেছেন, তার দেশের ওপর বিদেশি মদদে চাপিয়ে দেয়া বহু বছরের যুদ্ধ প্রমাণ করেছে, পশ্চিমা দেশগুলো মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের যে কথা বলে বাস্তবে তারা ঠিক তার বিপরীত কাজ করে। তিনি রাশিয়ার চ্যানেল ওয়ানকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন।
প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, পশ্চিমারা নিজেদেরকে গণতন্ত্রপন্থি ও স্বাধীনতাকামী হিসেবে তুলে ধরে বিশ্বের বাকি সব দেশকে নিজেদের তাবেদার রাষ্ট্র বানিয়ে রাখতে চায়। তিনি বলেন, স্বাধীনতা একটি সুন্দর পরিভাষা, কিন্তু এর মাধ্যমে একজন মানুষকে হত্যা ও ধ্বংসলীলা’সহ সব ধরনের অপকর্ম করার স্বাধীনতা দেয়া হয়। আর তারা গণতন্ত্রের যে বুলি আওড়ায় তা অন্য দেশগুলোকে পদানত করে রাখার হাতিয়ার ছাড়া আর কিছু নয়।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “যুদ্ধের সময় সুনির্দিষ্ট কিছু পশ্চিমা দেশ আমাকে ‘দায়মুক্তি’ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে পদত্যাগ করতে উৎসাহ দিয়েছিল। কিন্তু যখন তারা উপলব্ধি করেছে যে, আমরা তাদের ছলনা বুঝতে পেরেছি এবং তারা আর আমাদের বোকা বানাতে পারবে না তখন থেকে আমাকে আর এ ধরনের প্রস্তাব দেয়নি।” তবে প্রেসিডেন্ট আসাদ সুনির্দিষ্টভাবে এসব দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চ মাসে উগ্র জঙ্গিদের দিয়ে সহিংসতা ও যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়। আবার উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশকে দমনের অজুহাতে ২০১৪ সালে সিরিয়ায় সামরিক আগ্রাসন চালায় আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলো।তবে মার্কিনীদের সহযোগিতা ছাড়াই সিরিয়ার সেনাবাহিনী তার মিত্রদের সহযোগিতায় ২০১৭ সালে দায়েশকে পরাজিত করে। কিন্তু তারপরও এখন পর্যন্ত সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়নি।#
পার্সটুডে/এমএমআই/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।