হামলা থেকে মার্কিন সেনারাও নিরাপদ থাকবে না: ইয়েমেনি বাহিনী
ইয়েমেনের ন্যাশনাল স্যালভেশন সরকারের এক কর্মকর্তা বলেছেন: আমেরিকা শান্তি চায় না। ইয়েমেনি বাহিনীর পরবর্তী হামলার টার্গেট থেকে আমেরিকার সামরিক বাহিনী নিরাপদ থাকবে না।
ইয়েমেনের তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌফিক আল-হামিরি বলেছেন: মার্কিন দূত টিম লিন্ডারকিংয়ের ইয়েমেন সফর বলে দিচ্ছে ওয়াশিংটন আসলে যুদ্ধবিরতি চায় না। স্পুটনিক নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইয়েমেনে তাদের অস্ত্র সরবরাহের ঘটনাই তার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন হামিরি।
তিনি বলেন: লিন্ডারিকিং আসলে ইয়েমেন সফরে আসে নি সে এসেছে আমিরাত এবং সৌদি আরব সফরে। একটা স্থায়ী যুদ্ধ বিরতির সম্ভাব্যতা যাচাই করতেই লিন্ডারকিং সফরে এসেছে। কিন্তু বাস্তব তথ্য-প্রমাণিাদি থেকে মনে হচ্ছে আমেরিকা আসলে যুদ্ধবিরতি হোক-সেটা চায়ই না।
এই ইয়েমেনি কর্মকর্তা আরও বলেন: অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স ইয়েমেনি কর্মচারীদের বেতন প্রদান সংক্রান্ত ধারাগুলোর বিরোধিতা করেছে। তিনি আরও বলেন: এ বিষয়টিও প্রমাণ করে শত্রুরা ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আন্তরিক নয়। শান্তি ও সংহতি চাইলে তাদের উচিত সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা এবং ইয়েমেনি বন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া। তারা সেসব নিয়ে কথা বলছে না। সৌদিআরবকে তিনি আমেরিকার হাতের ক্রীড়ণক বলে মন্তব্য করেন তৌফিক আল-হামিরি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশের মদদে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। দেশটিকে স্থল, জল এবং আকাশপথে অবরোধ করে।
ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের যুদ্ধের অষ্টম বছর শেষ হয়েছে। গত ২ এপ্রিল দুই মাসের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল এবং তার মেয়াদ ২দফা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সালের অক্টোবরে কোনো পক্ষই আর যুদ্ধবিরতি নবায়ন করতে সম্মত হয় নি। তবে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।#
পার্সটুডে/এনএম/১৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।