জাতিসংঘের প্রতিবেদন
আফগানিস্তানে দুই বছরে তালেবানের হাতে ২০০ সাবেক কর্মকর্তা নিহত
আফগানিস্তানে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ক্ষমতায় আসার পর তালেবানের হাতে দেশটির সাবেক অন্তত ২০০ সেনা ও সরকারি কর্মকর্তা বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে জাতিসংঘ দাবি করেছে।
জাতিসংঘের অ্যাসিস্টেন্ট মিশন ইন আফগানিস্তান বা ইএনএএমএ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এটি বলেছে, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
এসব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত বা ঘাতকদের বিচার করার চেষ্টা ‘অত্যন্ত সীমিত’ ছিল বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে জাতিসংঘের এই তথ্য-উপাত্ত অন্য কোনো সূত্র থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারকে হটিয়ে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণ করার চার মাসের মধ্যে বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। তবে ২০২২ সালব্যাপী সাবেক সেনা ও সরকারি কর্মকর্তাদের হত্যা করার কাজ অব্যাহত থাকে এবং এই বছর ৭০ ব্যক্তি নিহত হয়।
ইউএনএএমএ আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ৮০০টি ঘটনা রেকর্ড করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে নির্বিচারে গ্রেফতার ও আটক, নির্যাতন ও দুর্ব্যবহার এবং বলপূর্বক গুম করে দেয়া।
আফগানিস্তানের ৩৪ প্রদেশের প্রায় সবগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলেও কাবুল, কান্দাহার ও বালখ প্রদেশে এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি কয়েকটি ক্ষেত্রে তদন্তের ঘোষণা দেয়া হলেও তার অগ্রগতিতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার অভাব ছিল।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয় হাই কমিশনার ভল্কার তুর্ক বলেছেন, তালেবান ক্ষমতা গ্রহণ করে সবার প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা সত্ত্বেও বিগত দুই বছরে নিহতদের বেশিরভাগ তালেবানের প্রাণ হারিয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।