গাজা ও লেবাননে চালানো হামলায় নিষিদ্ধ ফসফরাস ব্যবহার করেছে ইসরাইল
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i129316
ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজা ও লেবাননে নিষিদ্ধ সাদা ফসফরাস নিক্ষেপ করার যে অভিযোগ উঠেছিল তার সত্যতা নিশ্চিত করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডাব্লিউ। এর আগে গাজায় কর্তব্যরত একাধিক সংবাদদাতা এই অভিযোগ তুলেছিলেন।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
অক্টোবর ১৩, ২০২৩ ১৪:৪৮ Asia/Dhaka

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজা ও লেবাননে নিষিদ্ধ সাদা ফসফরাস নিক্ষেপ করার যে অভিযোগ উঠেছিল তার সত্যতা নিশ্চিত করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডাব্লিউ। এর আগে গাজায় কর্তব্যরত একাধিক সংবাদদাতা এই অভিযোগ তুলেছিলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছ, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো পাশবিক হামলায় সাদা ফসফরাসযুক্ত অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে ইসরাইল কিছুই জানে না বলে দাবি করেছে। আর লেবাননে এ ধরনের বোমা ফেলার বিষয়ে এই অবৈধ রাষ্ট্র নীরবত অবলম্বন করেছে।   

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, গত ১০ অক্টোবর লেবাননে ও ১১ অক্টোবর গাজায় নিক্ষিপ্ত ইসরাইলি বোমাগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, সেগুলো সাদা ফসফরাস দিয়ে তৈরি। এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার বেসামরিক নাগরিকদের গুরুতর এবং দীর্ঘমেয়াদী আঘাতের ঝুঁকিতে ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

সাদা ফসফরাস মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে বিবেচিত। আন্তর্জাতিক নীতি অনুসারে বেসামরিক কোনো স্থানে থাকা সামরিক লক্ষবস্তুতে এ বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ। এছাড়া সাদা ফসফরাসসমৃদ্ধ অস্ত্র বেসামরিক এলাকায় ব্যবহার যুদ্ধাপরাধ।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এমন সময় এ অভিযোগ করল যখন অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর পাশবিক হামলায় জাতিসংঘের ১১ কর্মী এবং জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নেয়া ৩০ শিক্ষার্থী নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। এছাড়া, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই উপত্যকায় ইসরাইলি পাশবিকতায় ১,৫৩৭ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং  ৬,৬১২ জন আহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৫০০ শিশু এবং ২৭৬ জন নারী রয়েছেন। #

পার্সটুডে/এমএমআই/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।