গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে প্রতিবাদে আমেরিকা-ইউরোপে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ বোমা হামলা ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের দাবিতে আমেরিকা-ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল আমেরিকার নিউ ইয়র্ক, তুরস্কের ইস্তানম্বুল, ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডন, ইতালির মিলান, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস, ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন, সুইজারল্যান্ডে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। লস এঞ্জেলসে ইহুদিরা বিক্ষোভ করেছেন ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।
ফিলিস্তিনের গাজায় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরাইলের নির্বিচার বোমা হামলার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় সেন্ট্রাল লন্ডনের পোর্টল্যান্ড স্ট্রিট ব্রিটিশ ব্রডকাস্টি করপোরেশন (বিবিসি) অফিসের সামনে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন। বেলা দেড়টার সময় পোর্টল্যান্ড স্ট্রিট থেকে মিছিল নিয়ে শান্তিকামী মানুষ রিজেন্ট স্ট্রিট, পিকাডোলি স্কয়ার, হে-মার্কেট, ট্রাফলগার স্কয়ার, হোয়াইটহল ও পার্লামেন্ট স্ট্রিট হয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিস ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এর আগেরদিন ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে যোগ দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ ও মুহিদ্দিন ইয়াসিন। রাজধানী কুয়ালালামপুরে তারা র্যালিতে অংশ নেন। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য তহবিল সংগ্রহের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়ায় জুমার নামাজে বিশেষ প্রার্থনা হয় মসজিদে মসজিদে। র্যালি হয় রাজধানী জাকার্তা ও দেশের অন্যান্য স্থানে। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গ্রুপ ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেয়।
শুক্রবার পাকিস্তানের মসজিদগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এদিন জামায়াতে ইসলামী, জমিয়তে উলেমায়ে ইসলামসহ ছোট ছোট কিছু গ্রুপ দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল ব্যানার ও প্লাকার্ড। তাতে ছিল পবিত্র আল আকসা মসজিদ ও হামাস নেতাদের ছবি।
বাংলাদেশে জুমার নামাজের পর রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় হাজার হাজার মুসল্লি র্যালি করেন। এসব র্যালি থেকে ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান নেতারা। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলায় সমর্থন দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সমালোচনা করেন তারা।
ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তেলাঙ্গানার রাজধানী শহর হায়দরাবাদে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সংহতি প্রকাশের জন্য কিছু মানুষ জমায়েত হলে সেখান থেকে একদল মানুষকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ। স্থানীয় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল। তারা তেল আবিবের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিবাদ বিক্ষোভ করার কোনো অনুমতি নেয়নি তারা।
ওদিকে আফগানিস্তানে রাজধানী কাবুলসহ বিভিন্ন প্রদেশে বিশাল বিশাল সব র্যালি হয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারীরা ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানান। মুসলিম নেতাদের কণ্ঠকে জোরালো করার আহ্বান জানানো হয়। ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করার আবেদন জানানো হয়।
ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের বাদগামেও র্যালি হয়েছে। গাজার মানুষদের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করেন কমপক্ষে ২০০ বিক্ষোভকারী। তারা এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল বিরোধী স্লোগান দেন।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৫