ইহুদিবাদী ইসরাইলকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ ঘোষণা করা হবে: এরদোগানের প্রতিশ্রুতি
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i129980-ইহুদিবাদী_ইসরাইলকে_যুদ্ধাপরাধী’_ঘোষণা_করা_হবে_এরদোগানের_প্রতিশ্রুতি
ইহুদিবাদী ইসরাইলকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। গতকাল (শনিবার) ফিলিস্তিন-পন্থি লাখ লাখ মানুষের সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এরদোগান বলেন, “আমরা গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দেব ইসরাইল যুদ্ধাপরাধী। আমরা সেজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ইসরাইলকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করব।”
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
অক্টোবর ২৯, ২০২৩ ১০:৪২ Asia/Dhaka
  • ইহুদিবাদী ইসরাইলকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ ঘোষণা করা হবে: এরদোগানের প্রতিশ্রুতি

ইহুদিবাদী ইসরাইলকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। গতকাল (শনিবার) ফিলিস্তিন-পন্থি লাখ লাখ মানুষের সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এরদোগান বলেন, “আমরা গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দেব ইসরাইল যুদ্ধাপরাধী। আমরা সেজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ইসরাইলকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করব।”

প্রায় এক ঘণ্টার ভাষণে এরদোগান বলেন, “গত ২২ দিন ধরে ইসরাইল প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধ করে যাচ্ছে অথচ পশ্চিমা নেতারা তেল আবিবকে যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার পর্যন্ত আহ্বান জানাচ্ছে না।” ফিলিস্তিনিদের প্রতি তুর্কি জাতির সমর্থন প্রদর্শনের জন্য শনিবার বিকালে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের আহ্বানে ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

‘গ্রেট প্যালেস্টাইন মিটিং’ শীর্ষক সমাবেশে দেয়া ভাষণে এরদোগান তুরস্কের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, বরং স্বাধীনতাকামী। আর ইসরাইল অবৈধ দখলদার। তিনি বলেন, আমি আবারও বলছি, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়।  ইসরাইল একটি দখলদার সরকার।

সমাবেশে উপস্থিত মানুষেরা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দেন এবং তুরস্ক ও ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ান।  এরদোগান আরও বলেন, গাজায় গণহত্যার মূলহোতা পাশ্চাত্য।  পশ্চিমারা ইসরাইলের কাছে ঋণী, কিন্তু তুরস্ক ঋণী নয়।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ‘অপারেশন আল-আকসা তুফান’ পরিচালনা করলে চলমান সংঘাত শুরু হয়। স্থল, সমুদ্র এবং আকাশপথে চালানো অভিযানে বেশ কয়েকশ’ ইসরাইলি সেনাসহ ১,৪০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।

হামাস বলেছে, আল-আকসা মসজিদে হামলা এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিশোধ হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়েছে। ওই দিন থেকেই ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় অবিরাম বোমাবর্ষণ শুরু করে। শুক্রবার রাতে অভিযান আরও জোরদার করা হয়। এর মধ্যেই শুক্রবার রাতে অবরুদ্ধ গাজায় মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৭ হাজার ৩২৬ ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, নিহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু। #

পার্সটুডে/এমএমআই/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।