গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের রক্তস্নানের আসল কারণ কি?
(last modified Mon, 20 Nov 2023 11:54:10 GMT )
নভেম্বর ২০, ২০২৩ ১৭:৫৪ Asia/Dhaka

অবরুদ্ধ গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের জাতিগত নিধন এবং গণহত্যা ৪০ তম দিনে প্রবেশ করলেও আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর নিষ্ক্রিয়তা অব্যাহত রয়েছে। আর এই সুযোগে  ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠী  গাজায় তার অপরাধযজ্ঞের মাত্রা প্রতিদিনই বাড়িয়ে তুলছে। 

গত ৭ অক্টোবর গাজার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ছোট ঘনবসতিপূর্ণ ভূমিতে ১২ হাজারের বেশি লোককে গণহত্যা এবং জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৪৬৩০ জনেরও বেশি শিশু এবং ৩,১৩০ জন নারী রয়েছেন। এছাড়া হামলায় ৩০ হাজারের বেশি লোক আহত হয়েছে যাদের ন্যূনতম চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখন তারা সুচিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে কারণ গাজার ৩৬টি  হাসপাতালের মধ্যে ২১টির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। শেফা হাসপাতালের কয়েক হাজার আহত লোককে বন্দী করার পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদেরকে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। এছাড়া, গাজার ৫২ হাজার গর্ভবতী মহিলার অবস্থা গুরুতর এবং তাদের স্বাস্থ্যকর প্রসব নিয়ে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে।। জন্ম নেওয়া ৩০ হাজার শিশু এবং তাদের স্তন্যদানকারী মায়েরা নিরাপদ পানি পান করতে পারছে না।

গাজায় সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হচ্ছে এই যে ২ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে  রয়েছে যার মধ্যে প্রায় ১,৩৫০ জন শিশু।  ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর হামলার সময় গাজার ৪১ হাজারেরও বেশি আবাসিক ইউনিট সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং দুই লাখের বেশি অন্যান্য ইউনিট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গাজার জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর বড় আকারের হামলার কারণে সৃষ্ট বৃহৎ আকারের সংঘাতের সাথে আল-আকসা তুফান অভিযানের কোনো সম্পর্ক নেই এবং নতুন নথির প্রকাশের মাধ্যমে এটা দেখায় যে নেতানিয়াহুর চরমপন্থি মন্ত্রিসভা একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। আল-আকসা তুফান অভিযানের আগে গাজায় বড় আকারের হামলা এবং এটি বাস্তবায়নের সুযোগ খুঁজছিল।

হারেৎজ পত্রিকায় প্রকাশিত এই নথিগুলির মধ্যে একটি ইঙ্গিত দেয় যে গত ৭ অক্টোবর রায়িম শহরে সঙ্গীত উৎসবে হামলা হামাসের মাধ্যমে নয় বরং একটি ইসরায়েলি হেলিকপ্টারের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল যাতে ৩৬৪ জন নিহত হয়েছিল। অন্য একটি নথি অনুসারে ইহুদিবাদীদের চূড়ান্ত লক্ষ্য কেবল ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের ভূমি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া নয় গাজার বহু বিলিয়ন ডলারের প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ বাজেয়াপ্ত করাও তাদের লক্ষ্য। এছাড়াও, ইসরায়েলের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের একটি গোপনীয় সরকারী নথি অনুসারে যা এই মন্ত্রণালয়ের লোগোসহ ১৩ অক্টোবর  ফাঁস হয়েছিল সেখানে বলা হয়েছে "গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিকে মিশরের সিনাই উপদ্বীপে জোরপূর্বক  স্থায়ী স্থানান্তর করার একটা ভয়ানক এজেন্ডা তেল আবিবের শামক গোষ্ঠী হাতে নিয়েছে যার বিষয়ে ইসরায়েল এবং আমেরিকা আলোচনা করছে।  #

পার্সটুডে/এমবিএ/ ২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ