মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের সারা শরীরে জখম
ইসরাইলি সেনারা ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে: ফিলিস্তিনি বন্দিদের অভিযোগ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরাইলি গণহত্যার মধ্যেই উপত্যকা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া একদল ফিলিস্তিনি বলেছেন, তাদের ওপর ইহুদিবাদী সেনারা অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। এসব ফিলিস্তিনিকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে দখলদার বাহিনী।
গতকাল (রোববার) ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে গাজায় ফিরে এসে নিজেদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দেন ২২ বছর বয়সি নায়েফ আলী ও ৫৫ বছর বয়সি খামিস আল-বারদিনি।
গাজা সিটির পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত জয়তুন এলাকা থেকে নায়েফ আলীকে ধরে নিয়ে যায় দখলদার সেনারা। ইসরাইলি বন্দিশিবির থেকে ফিরে আসার পর নায়েফের পায়ে চাবুকের আঘাতের পাশাপাশি কয়েক স্থানে বড় বড় কাটা দাগ দেখতে পাওয়া যায়। তার হাতের কবজিও কেটে গেছে।
এই ফিলিস্তিনি যুবক বলেন, তারা আমাদের পিঠমোড়া করে বেঁধে দুই দিন ফেলে রেখেছিল। ওই দুই দিন যেমন আমাদেরকে কিছু খেতে দেয়া হয়নি তেমনি আমাদের টয়লেট ব্যবহার করারও কোনো সুযোগ ছিল না। তারা শুধু আমাদেরকে ধরে ধরে মারছিল।
গাজা উপত্যকার সীমান্তবর্তী কোনো একটি এলাকায় তাদেরকে রাখা হয়েছিল জানিয়ে নায়েফ বলেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে আমাদের ফেলে রাখা হয়েছিল। শীতের মধ্যে আমাদের শরীরে ঠাণ্ডা পানি ঢেলে দেয়া হয়। দু’দিন পর আমাদেরকে একটি কারাগারে পাঠানো হয় এবং সেখানেও চলে নির্যাতন।
মুক্তিপ্রাপ্ত অপর বন্দি বারদিনি বলেন, দখলদার সেনারা সারারাত আমাদের মাথায় ঠাণ্ডা পানি ঢেলেছে এবং সারাদিন প্রহার করেছে।
গাজা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর এমন সময় এ নির্যাতন চালানো হলো যখন গাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দিরা মুক্তি পেয়ে তাদের সঙ্গে সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের বর্ণনা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনি রক্ষীরা তাদেরকে সেই খাবার খেতে দিয়েছেন যা তারা নিজেরা খেয়েছেন। ইসরাইলি নারী বন্দিরা বলেছেন, তাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা সর্বোচ্চ সম্মানজনক আচরণ করেছেন।#
পার্সটুডে/এমএমআই/২৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।