লোহিত ও আরব সাগরে ইঙ্গ-মার্কিন বলদর্পিতার বেলুন ফুটো করেছে ইয়েমেন
(last modified Wed, 07 Feb 2024 08:00:31 GMT )
ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪ ১৪:০০ Asia/Dhaka

ইয়েমেনের জনপ্রিয় আনসারুল্লাহ আন্দোলনের প্রধান সাইয়্যেদ আবদুল মালিক হুউসি লোহিত সাগরে ইসরাইল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিপ্লবী ইয়েমেনিদের অভিযান অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।  

তিনি বলেছেন, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ‘তিন শয়তান’ আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইসরাইলের আগ্রাসী তৎপরতা বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানানো থেকে দেশটিকে বিরত রাখা যাবে না।

আবদুল মালেক হুউসি লোহিত সাগরে মার্কিন শক্তির পরাজয়ের বিষয়টি তুলে ধরে বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের মত মার্কিন জাহাজগুলোও এখন অন্য দেশের পতাকা ব্যবহার করে ছদ্মবেশ ধারণের মাধ্যমে সাগরে ইয়েমেনি হামলা থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে। এর ফলে লোহিত সাগর ও আরব সাগরে ইয়েমেনের বিপ্লবী জাতির শক্তিমত্তা ফুটে উঠেছে ও এই বিপ্লবী জাতি কার্যকর নিষেধাজ্ঞার কাছে ইঙ্গ-মার্কিন ও ইসরাইলি অপশক্তির পরাজয় ঘটেছে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন। 

হুউসি নেতা গতকাল মঙ্গলবারেও লোহিত সাগরে ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু'টি জাহাজের ওপর সরাসরি উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইয়েমেনের সফল আঘাত হানার ঘটনা তুলে ধরে বলেছেন, পবিত্র কুরআনের বাণী ও ইসলামী ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকেই ইয়েমেনের বিপ্লবীরা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইসরাইল নামক তিন শয়তানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে যা ইয়েমেনিদের জন্য গৌরব ও সম্মানের উৎস।

হুউসি আনসারুল্লাহ নেতা কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, লোহিত সাগরের পরিস্থিতি শান্ত করার একমাত্র উপায় হল গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করে সেখানে অবাধে খাদ্য ও ওষুধ প্রবেশ করতে দেয়া। তা না হলে আমাদের হামলা বাড়তেই থাকবে।

এই কঠোর হুশিয়ারি থেকে বোঝা যাচ্ছে ইয়েমেনের কাছে চাপ সৃষ্টির মত আরও মাধ্যম রয়েছে এবং দেশটির সামরিক সক্ষমতা মোটেও কমেনি যেমনটি দাবি করেছে ইঙ্গ-মার্কিন কর্মকর্তারা। 

উল্লেখ্য গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত গণহত্যা ও অমানবিক অবরোধের জবাবে ইয়েমেনের বিপ্লবী আনসারুল্লাহ আন্দোলনের অনুগত সেনারা প্রায় দুই মাস ধরে লোহিত ও আরব সাগর অঞ্চলে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক ভেড়া বহনকারী অস্ট্রেলিয়ার একটি জাহাজ ইয়েমেনি বাধার কারণে ইসরাইলের না গিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

ইয়েমেনি অবরোধের কারণে ইসরাইলের ও এই অবৈধ দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক রক্ষাকারী দেশগুলোর হাজার হাজার কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ইয়েমেন, ইরাক, সিরিয়া ও লেবাননের বিপ্লবীরা ছাড়া বর্তমানে অন্য কোনো আরব দেশই ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের ও মজলুম ফিলিস্তিনিদের সামরিক সহায়তা দেয়ার সাহস করছে না। বরং এইসব সরকার ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্রদের বলদর্পিতার কাছে ভেড়ার মত নতজানু হয়ে আছে।  #

পার্সটুডে/এমএএইচ/০৭