ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪ ০৯:৩৫ Asia/Dhaka
  • এবার রাফাহ শহর খালি করার নির্দেশ যুদ্ধবাজ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কঠোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তের রাফাহ শহর থেকে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে দেয়ার জন্য দখলদার সেনা কর্মকর্তাদেরকে একটি কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি মারাত্মক ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর আগে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে ফেলার নির্দেশ জারি করলেন। এমন সময় নেতানিয়াহুর এ নির্দেশ এল যখন এই তেল আবিবের নির্দেশেই গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ মানুষই উপত্যকার নানা প্রান্ত থেকে এসে এই রাফাহ শহরের অস্থায়ী তাবু বা জাতিসংঘের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

এর আগে উত্তর ও মধ্য গাজার শহরগুলোতে আগ্রাসন চালানোর আগে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে দেয়ার জন্য ইসরাইলকে এরকম কোনো পরিকল্পনা করতে দেখা যায়নি বরং তারা নির্দেশ দিয়েই দায় সেরেছে। কিন্তু এবার নিজের প্রভু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক হারে হত্যাযজ্ঞের ব্যাপারে তেল আবিবের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করার পর ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী ব্যতিক্রমি এ নির্দেশ দিলেন।

নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাফাহ শহরের বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর একটি ‘যৌথ পরিকল্পনা’ ঘোষণা করা হয়েছে। রাফাহ শহরে হামাসের চার ব্যাটালিয়ন সদস্যকে অক্ষত রেখে হামাসকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়।

তবে পর্যবেক্ষকরা রাফাহ শহর খালি করে ফেলার এই ঘোষণাকে প্রচারণা এবং বিশ্বজনমত ধোঁকা দেয়ার অপকৌশল বলে মনে করছেন। তারা বলছেন, গত অক্টোবরে ইসরাইল উত্তর গাজার ১১ লাখ অধিবাসীকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু পরে পলায়নরত মানুষদের পাশাপাশি দক্ষিণ আশ্রয় নেয়া গাজাবাসীর ওপরও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় মানবতার শত্রু  ইসরাইল। এবার দক্ষিণ গাজা খালি করার নির্দেশ এমন সময় জারি করা হলো যখন উপত্যকার বাকি অংশগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এবং সেসব অংশ বসবাস অযোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/১০

ট্যাগ