গাজায় ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ ঠিক করবে প্রতিরোধ ফ্রন্ট: ইসলামি জিহাদ
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i135118-গাজায়_যুদ্ধ_পরবর্তী_পরিকল্পনা’_ঠিক_করবে_প্রতিরোধ_ফ্রন্ট_ইসলামি_জিহাদ
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ-পরিবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যাপারে ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন। এটি বলেছে, গাজার জন্য কথিত ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ একমাত্র প্রতিরোধ ফ্রন্ট নির্ধারণ করবে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মার্চ ০৩, ২০২৪ ০৯:৫৯ Asia/Dhaka
  • গাজায় ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ ঠিক করবে প্রতিরোধ ফ্রন্ট: ইসলামি জিহাদ

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ-পরিবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যাপারে ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন। এটি বলেছে, গাজার জন্য কথিত ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ একমাত্র প্রতিরোধ ফ্রন্ট নির্ধারণ করবে।

ইসলামি জিহাদের সামরিক বাহিনী আল-কুদস ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু হামজা শনিবার এক অডিও বার্তায় এ হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “ভেড়ার পালের নেতা নেতানিয়াহুর জন্য আমাদের বার্তা হচ্ছে, গাজায় যুদ্ধ শেষে কী হবে তা আমরাই নির্ধারণ করব।”

তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধ সমাপ্তির অর্থ হবে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সম্পূর্ণ ধ্বংসের সূচনা। আবু হামজা বলেন, গাজার প্রতিরোধ ফ্রন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণ শক্তিতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম।

ফিলিস্তিনকে সমরাস্ত্র সরবরাহ করার জন্য আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আল-কুদস ব্রিগেডের মুখপাত্র বলেন, মুসলিম উম্মাহর পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ইহুদিবাদী শত্রুর বিরুদ্ধে যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে মুসলিম দেশগুলো কোনো অজুহাতেই তা উপেক্ষা করার পক্ষে ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারে না।

গত জানুয়ারি মাসে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরাইল সরকার গাজা উপত্যকার জন্য ‘যুদ্ধ পরবর্তী পরিকল্পনা’ ঘোষণা করে। তেল আবিব দাবি করে, যুদ্ধ শেষে গাজার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব নেবে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্য থেকে ‘হামাস-বিরোধী’ একদল প্রশাসক উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যা অভিযানে অন্তত ৩০,৩২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এছাড়া, তেল আবিব গাজা উপত্যকার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে যাতে সেখানে কোনো খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রবেশ করতে না পারে। মানবাধিকারের কথিত রক্ষক পশ্চিমা শক্তিগুলো ইসরাইলের এই ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘন চেয়ে চেয়ে দেখছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।