মে ২৫, ২০২৪ ১৭:১০ Asia/Dhaka
  • গাজা যুদ্ধে ইথিওপিয়ার নাগরিকদের বলির পাঁঠা বানিয়েছে ইসরাইল!

বর্ণবাদের অস্তিত্ব এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠীর বর্ণবাদী আচরণ এবং ব্যবস্থা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে অতি সুপরিচিত এবং এই জাতিগত বৈষম্যের শিকার হওয়া সম্প্রদায়ের উদাহরণ হল স্বয়ং ফালাশার ইহুদিরা।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসবাসের জন্য অন্যান্য দেশ থেকে ইহুদিদের আকৃষ্ট করা ছিল ইসরাইলি সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিশন।

সামরিক অভিযানে ইহুদিবাদী শাসকদের পরাজয় ও ব্যর্থতার প্রধান কারণ ছিল মূলত ইসরাইলি সৈন্যদের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক এবং দুর্বল মনোবল। তাই এই দখলদার শাসক গোষ্ঠীর শাসনামলে ফালাশা ইহুদিদের (ইথিওপিয়ান বংশোদ্ভূত) যাদের জীবনধারা এবং সামাজিক মর্যাদা ছিল খুবই নিম্ন স্তরে তাদেরকে যুদ্ধের প্রথম সারিতে এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক ফ্রন্টে মোতায়েন করা হয়।

সাধারণভাবে অন্যান্য শেতাঙ্গ ইহুদিরা এই আফ্রিকান ইহুদিদের খুব বেশি পাত্তা দেয় না এবং বৈষম্য নির্বিশেষে এমনকি তারা তাদের মানুষ হিসাবে ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে করে। যেমন ইথিওপিয়ান কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিরা অধিকৃত ফিলিস্তিনি হাসপাতালে রক্ত ​​দিতে গেলে শেতাঙ্গ ইসরাইলিরা তাদের রক্ত ​​ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল এবং বিশ্বাস করে যে তাদের রক্তে সম্ভবত অনেক ভাইরাস রয়েছে।

বেশিরভাগ শ্বেতাঙ্গ ইসরাইলি ফালাশাদের ইহুদি বলে মনে করে না। তবে ইসরাইলের শাসনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে এসব বর্ণবাদী ইহুদিরাই কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদেরকে বলির পাঁঠা হিসেবে ব্যবহার করছে!  

১৯৭০ সালে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠী ফালাশাদের তাদের জনসংখ্যা বাড়াতে এবং ফিলিস্তিনি ভূমিতে অভিবাসন হতে উৎসাহিত করার জন্য ইহুদি হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।

ইথিওপিয়ার আর্থ সামাজিক অবস্থা খুবই নিম্মমান হওয়ার পাশাপাশি সেখানে চরম দারিদ্র্যের কারণে বিপুল সংখ্যক ফালাশাকে অবৈধভাবে দখলকৃত ফিলিস্তিনে চলে যেতে বলা হয়েছিল এবং অধিকৃত ভূখণ্ডে ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীতে তাদেরকে কঠিন দায়িত্ব পালন করতে দেয় হয়। ঘোষিত পরিসংখ্যান অনুসারে আনুমানিক ১ লাখ ৬০ হাজার ইথিওপিয়ান আজ ফিলিস্তিনের ইসরাইল-অধিকৃত ভূখণ্ডে বসবাস করছে।

গাজায় চলমান যুদ্ধ ইসরাইলের অভ্যন্তরে অসংখ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট সৃষ্টি করেছে এবং সেখানে আরাম আয়েশে থাকা অবৈধভাবে বসতিস্থাপনকারী ইসরাইলিরা এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে ইসরাইল নিরাপদ স্থান নয়।#

পার্সটুডে/এমবিএ/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

 

ট্যাগ