ইয়েমেনে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিমান হামলা
ইহুদিবাদী বাহিনীর জন্য কি নিজের আকাশসীমা খুলে দিয়েছে সৌদি আরব?
পার্সটুডে- কোনো কোনো গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বলছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল ইয়েমেনে সাম্প্রতিক হামলার সময় সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করেছে।
ইসরাইলি বিমান বাহিনীর অফিসিয়াল এক্স পেজে ইয়েমেনে এই বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলার যে ভিডিও ক্লিপ আপলোড করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ইসরাইলের এফ-৩৫ ও কেসি-৭০৭ যুদ্ধবিমানগুলো সৌদি আরবের আল-হুমিদা শহরের আকাশসীমা অতিক্রম করছে। পার্সটুডে জানাচ্ছে, ইন্টারনেটভিত্তিক ওয়েবসাইট দি ওয়ার জোন (THE WAR ZONE) এই ভিডিও ক্লিপের সূত্র ধরে বলেছে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলোর পক্ষে একবার জ্বালানি নিয়ে ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আবার ফিরে আসার জন্য কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করা সম্ভব ছিল না। এ কারণে এসব যুদ্ধবিমানের সঙ্গে জ্বালানি বহনকারী বিমানও নেয়া হয়েছিল। আর ওই ভিডিও ক্লিপে সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে সৌদি আরবের আল-হুমিদা শহরের আকাশে অবস্থানকালে জ্বালানি নিয়েছে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী গোজুকারা ফুরকান সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ এই ভিডিও প্রকাশ করে লিখেছেন: ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ইয়েমেনে বিমান হামলা করতে যাওয়ার সময় সৌদি আরবের আকাশে জ্বালানি সংগ্রহ করেছে।
ইয়েমেনশাবাব (yemenshabab) ওয়েবসাইটও এই ভিডিও ক্লিপটি প্রকাশ করে জানিয়েছে, ১৯৮৫ সালে তিউনিশিয়ায় পিএলওর সদরদপ্তরে হামলার পর এবার ইসরাইল সৌদি আরবের দয়ার বরকতে দীর্ঘতম দূরত্বে অর্থাৎ ইয়েমেনে বিমান হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।
কেউ কেউ ইয়েমেনে হামলা চালানোর কাজে সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহারের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সিজিফ নামের একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন: এটি অবিশ্বাস্য ব্যাপার যে, একটি আরব দেশ আরেকটি আরব দেশে হামলার কাজে ইহুদিদের সাহায্য করছে।
তিনি এরপর প্রশ্ন করেন: “যখন সৌদি আরব দাবি করছে যে, সে ইয়েমেন হামলায় ইহুদিবাদী বাহিনীকে সাহায্য করেনি তখন ইসরাইল কেন এই ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছে? আপনাদের কী মনে হয়?”
উল্লেখ্য, ইহুদিবাদী ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো গত রোববার রাতে ইসরাইল থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইয়েমেনের হুদায়দা শহরের বিমানবন্দর ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালায়।
ইয়েমেন থেকে ইসরাইলি সামরিক অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে তিনটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর তেল আবিব হুদায়দা বন্দরে আগ্রাসন চালায়।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে সাক্ষাতে বলেন: ফিলিস্তিন ইস্যুটি ব্যক্তিগতভাবে তাকে মোটও ভাবায় না। তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবে ফিলিস্তিনের পক্ষে যেকোনো স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।