মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা কী?
ইসরাইল কেন লেবাননে খ্রিস্টান ও দ্রুজ অধ্যুষিত এলাকায় হামলা চালাচ্ছে?
পার্সটুডে- ইহুদিবাদী ইসরাইল সম্প্রতি লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত দাহিয়া এলাকার নিকটবর্তী দু’টি খ্রিস্টান ও দ্রুজ অধ্যুষিত এলাকা ‘জাগরাতা’ ও ‘আইন আল-দালাব’-এ বিমান হামলা চালিয়েছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, খ্রিস্টান ও দ্রুজ জনগোষ্ঠীকে লেবাননে বসবাসরত শিয়া শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার লক্ষ্যে এ কাজ করেছে মানবতার শত্রু ইসরাইল।
ওই সব হামলায় বেশ কিছু আবাসিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। পার্সটুডে জানাচ্ছে, ইহুদিবাদী ইসরাইল এমন সময় এ হামলা চালিয়েছে যখন বৈরুতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিজা জনসন লেবাননে গোত্র ও জাতিগত দাঙ্গা বাধিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে আপ্রাণ চেষ্টা শুরু করেছেন। তিনি শিয়াদের সঙ্গে খ্রিস্টান ও দ্রুজ জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধিয়ে দিতে চান।
লেবাননের রাজনৈতিক বিশ্লেষক নাবিল আওয়াদা এ সম্পর্কে বলেন: ইহুদিবাদী সেনারা এমন সময় দাহিয়ার পার্শ্ববর্তী খ্রিস্টান ও দ্রুজ অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বিমান হামলা চালাচ্ছে যখন ওই সব এলাকায় হিজবুল্লাহর কোনো দপ্তর বা ঘাঁটি নেই। কাজেই এটা অনুমান করতে কষ্ট হয় না যে, ইসরাইল লেবাননের জনগণকে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে।
দেশটির অপর রাজনৈতিক ভাষ্যকার আলী মুরাদ বলেন: ইহুদিবাদী শত্রুরা যখন ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের ওপর বোমাবর্ষণ করে তখন বোঝা যায়, তেল আবিব প্রত্যক্ষভাবে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ শুরু করতে চায়।
ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে যা এখন পর্যন্ত চলছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত শত শত লেবাননি শহীদ ও অপর হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।#
পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ১২