লেবাননের এই নারী ফুটবলারের নাম কেন সবার মুখে মুখে?
(last modified Sun, 25 May 2025 14:04:09 GMT )
মে ২৫, ২০২৫ ২০:০৪ Asia/Dhaka
  • সেলিন হায়দার
    সেলিন হায়দার

পার্সটুডে : ইসরাইলি দখলদার বাহিনী লেবাননের একজন প্রতিভাবান নারী ফুটবলারকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করেছিল, কিন্তু এই তারকা হাল ছাড়েননি।

ফার্স নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, সেলিন হায়দার লেবাননের নারী ফুটবলের এক উজ্জ্বল প্রতিভা, যিনি গত বছর দক্ষিণ লেবাননের ইসরাইলের হামলার সময় ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন এবং মস্তিষ্কে আঘাতজনিত চোট পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি হার মানেননি। আজ (রোববার) আল জাজিরা টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি এখন সুস্থ হয়ে ফুটবল মাঠে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন।

কে এই সেলিন হায়দার?

সেলিন হায়দার লেবাননের অনূর্ধ্ব-১৯ নারী জাতীয় দলের একজন তারকা খেলোয়াড়। ২০২৫ সালে তাকে লেবাননের নারী ফুটবলের উদীয়মান প্রতিভা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

সেদিন কী ঘটেছিল?

২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে বর্বর হামলা চালায়। সেলিন সেই সময়  মোটরসাইকেলে করে বোমাবর্ষণের এলাকা থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। ঠিক সেসময় একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো তার মাথায় আঘাত করে, যার ফলে তিনি মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত পান এবং কোমায় চলে যান। প্রায় দুই মাস কোমায় থাকার পর, তিনি অবশেষে জ্ঞান ফিরে পান।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সেলিনের মাথায় আঘাত পাওয়ার ৭ মাস হয়ে গেছে, কিন্তু লেবাননি এই ফুটবলারের হাল ছেড়ে দেওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সেলিন হায়দার বেইরুত ফুটবল একাডেমির অধিনায়ক এবং লেবাননের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় রয়েছেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, তিনি আবার মাঠে ফিরবেন।#

পার্সটুডে/এমএআর/২৫