যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ব্যাপক সংখ্যক বন্দি বিনিময়ের জন্য গাজা প্রস্তুত
-
বন্দিবিনিময়ের জন্য প্রস্তত দেইর আল বালাহ
দেইর আল-বালাহ আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির অফিসের বাইরের রাস্তায় সোমবার মধ্যরাতে সারি সারি বাস অপেক্ষা করছিল। কারণ গাজায় প্রায় দুই বছরের গণহত্যার পর একটি বড় বন্দি বিনিময়ের জন্য প্রস্তুত।
ফিলিস্তিনি সূত্র নিশ্চিত করেছে, যে বিনিময় তালিকা অনুমোদিত হয়েছে তার প্রথম দফা স্থানান্তর শুরু হওয়ার কথা স্থানীয় সময় সকাল ৮:০০ টা।
ফিলিস্তিনি কুদস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ইসরায়েলি বন্দিদের দুটি দফায় মুক্তি দেওয়া হবে, সকাল ৮:০০ টায় এবং রাত ১০:০০ টায়। আর ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে রাত ১০:০০ টায়।
এই চুক্তির অধীনে, হামাস ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দি এবং আরও ২৮ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করবে অন্যদিকে ইসরায়েল প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দি ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেবে। বন্দিদের পরিবার ও কর্মকর্তাদের মতে, প্যাকেজটিতে দীর্ঘ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি এবং গাজায় সাম্প্রতিক হামলার সময় আটক প্রায় ১,৭০০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রেডক্রস দলগুলি নামের তালিকা করছে এবং গাজা থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের দখলকৃত অঞ্চলের দক্ষিণে একটি সামরিক অভ্যর্থনা স্থানে পরিবহনের জন্য যানবাহন প্রস্তুত রেখেছে। এ সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং বিশৃঙ্খলা রোধে উপত্যকা জুড়ে হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শার্মুশ-শেখে শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হচ্ছে এই বন্দিবিনিময়।
বন্দিবিনিময়ের পরপরই ড্রোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, চুক্তিতে পর্যায়ক্রমে সৈন্য প্রত্যাহার, বহুজাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং গণহত্যার পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য গাজার শাসনব্যবস্থায় একটি পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে অনেক ফিলিস্তিনি গভীরভাবে সন্দেহ পোষণ করে যে, এই ধরনের পদক্ষেপ তাদের দীর্ঘমেয়াদী অধিকার এবং মর্যাদা সুরক্ষিত করবে না।#
পার্সটুডে/১৩