ইরান একটিও গুলি না চালিয়ে আমাদের ঘিরে রেখেছে: ইসরায়েলি সাইবার প্রধান
-
ইসরায়েলি সাইবার অধিদপ্তরের প্রধান ইয়োসি কারাদি
পার্সটুডে-ইসরায়েলি সাইবার পরিচালক একটি বিরল স্বীকারোক্তি করে বলেছেন, ইরান একটিও গুলি না চালিয়ে ইসরায়েলকে সাইবার-প্রকৌশলে কোনঠাসা করে ফেলেছে।
'সাইবার সপ্তাহ ২০২৫' সম্মেলনটি তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনের একটি অনুষ্ঠানে তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এবং 'ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার কেন্দ্রের প্রধান ইয়োসি কারাদি'র মতো ব্যক্তিত্বরাসহ সাইবার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ইসরায়েলি, মার্কিন এবং ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। ফার্স নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, ইসরায়েলি সাইবার অধিদপ্তরের (আইএনসিডি) প্রধান ইয়োসি কারাদি, মার্চ মাসে এই পদ গ্রহণের পর থেকে "সাইবার সপ্তাহ ২০২৫" সম্মেলনে জনসাধারণের উদ্দেশে দেওয়া তার প্রথম বক্তৃতায় স্বীকার করেছেন: ইরান একটিও গুলি না চালিয়ে ইসরায়েলকে সাইবার সিস্টেমে আটকে ফেলেছে। তার এই স্বীকারোক্তি আবারও ইরানের ক্রমবর্ধমান সাইবার যুদ্ধ শক্তির প্রতি তেল আবিবের ভয় ও শঙ্কার কথা প্রকাশ পেলো।
কারাদির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, "১২ দিনের যুদ্ধের সময় সাইবার অস্ত্র ব্যবহার করে ইরান প্রতিটি ইসরায়েলিকে একাধিকবার লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করেছিল।" কারাদি আরও বলেন ১ হাজার ২০০টি সামাজিক প্রকৌশল-ভিত্তিক হ্যাকিং অভিযান চালানো হয়েছিল, যার প্রতিটিতে পৃথকভাবে হাজার হাজার ইসরায়েলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
ইহুদিবাদী এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন যুদ্ধের সময়, তেহরান গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং ট্র্যাক করার জন্য পার্কিং লট ক্যামেরা এবং রোড ক্যামেরার অ্যাক্সেস পেয়েছিল যাতে তাদের লক্ষ্যবস্তু এবং হামলা করার জন্য অভিযানের পরিকল্পনা করা যায়।
ইসরায়েলি কর্মকর্তার মতে, যখন ইরান ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউটকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করেছিল, সে সময় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগে তাদের কাছে থাকা স্ট্রিট ক্যামেরার মাধ্যমে ভবনটি পর্যবেক্ষণ করছিল।
তিনি আরও বলেন, আক্রমণ চালানোর আগে কেন্দ্রের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের হুমকিমূলক ইমেলও পাঠিয়েছিল ইরান, যাতে আক্রমণের মানসিক প্রভাব বৃদ্ধি পায়। তিনি ইরানের ফাঁস হওয়া তথ্য প্রকাশকে ভয়ভীতি তীব্র করার আরেকটি পদক্ষেপ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন।
ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স ছিল ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিজ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কেন্দ্রগুলোর একটি, যার মধ্যে রয়েছে সামরিক, পারমাণবিক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং জৈবপ্রযুক্তি। এগুলোর কোনো কোনো বিভাগের কিছু কিছু কার্যক্রম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও সামরিক কর্মসূচির সাথে সম্পর্কিত ছিল।#
পার্সটুডে/এনএম/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন