কুর্দিস্তানের গণভোটের বিষয়ে কে কী বলছেন
ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়া গণভোটের বিষয়ে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ- উৎকণ্ঠা এবং বিরোধিতা উপেক্ষা করে এ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।
এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি আধা-স্বায়ত্ত্বশাসিত কুর্দিস্তানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কুর্দিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ এ অঞ্চলকে জাতিগত যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে। তিনি আরো বলেছেন, "যদি বারজানি ও কুর্দিস্তানের সরকার এই ভুল পদক্ষেপ থেকে সরে না আসে তাহলে তাদেরকে জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক যুদ্ধের কলংক নিয়ে ইতিহাসের আস্তকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে।"
ইরানের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. আলী লারিজানি বলেছেন, ইরাকে যখন উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং সে অভিযান পুরোপুরি শেষ হয় নি তখন এ গণভোট অনুষ্ঠিত হলো; এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ গণভোটের মাধ্যমে ইরাকের অংশবিশেষ বিদেশিদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইরান বরাবরই এ গণভোটের বিরোধিতা করে আসছে।
কুর্দিস্তানে গণভোট অনুষ্ঠানে 'গভীর হতাশা' প্রকাশ করেছে মার্কিন সরকার। এ পদক্ষেপ ইরাকের জনগণের জন্য কষ্ট বাড়িয়ে দেবে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। অবশ্য, গতকাল অনুষ্ঠিত গণভোটের বিষয়ে মার্কিন সরকারের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আঞ্চলিক অনেক দেশ বিশ্বাস করে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কুর্দি নেতাদের গণভোটের উদ্যোগ সত্ত্বেও কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের সঙ্গে 'ঐতিহাসিক' যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন।
এদিকে, ইরাকের জাতীয় সংসদের সদস্যরা কুর্দিস্তান অঞ্চলে সেনা মোতায়েনের দাবি করেছেন। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদি বলেছেন, যারা এই গণভোটের জন্য দায়ী তাদেরকে সময়মতো শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
ইরাকের প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াও বলেছে, কুর্দিস্তানের গণভোট গ্রহণযোগ্য নয় এবং তারা একমাত্র ঐক্যবদ্ধ ইরাককে স্বীকার করে।#
পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/২৬