ধ্বংসস্তূপের সামনে ইফতার করছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রোজাদাররা
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i57900-ধ্বংসস্তূপের_সামনে_ইফতার_করছেন_যুদ্ধবিধ্বস্ত_সিরিয়ার_রোজাদাররা
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সিরিয়ায় একসময় বেশ আনুষ্ঠানিকতা ও আগ্রহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালিত হতো পবিত্র রমজান মাস। কিন্তু পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের ফলে বিধ্বস্ত দেশটিতে রমজানের সেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আর নেই। আল্লাহ্‌র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও সন্তুষ্টি অর্জনের সুযোগ হাত ছাড়া করেন না ধর্মপ্রাণ সিরিয়ানরা।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
মে ২৬, ২০১৮ ১৬:২২ Asia/Dhaka
  • ধ্বংসস্তূপের পাশে বসেই ইফতার করছেন সিরিয়ার রোজাদাররা
    ধ্বংসস্তূপের পাশে বসেই ইফতার করছেন সিরিয়ার রোজাদাররা

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সিরিয়ায় একসময় বেশ আনুষ্ঠানিকতা ও আগ্রহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালিত হতো পবিত্র রমজান মাস। কিন্তু পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের ফলে বিধ্বস্ত দেশটিতে রমজানের সেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আর নেই। আল্লাহ্‌র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও সন্তুষ্টি অর্জনের সুযোগ হাত ছাড়া করেন না ধর্মপ্রাণ সিরিয়ানরা।

রমজান মাসে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করা সিরিয়ার একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। ২০১১ সালের আগেও সিরিয়দের ইফতারের টেবিলে দেখা মিলত মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রাচুর্য। ইফতারে সিরিয়দের পছন্দ বিভিন্ন রকমের সালাদ, স্যুপ, রমজান উপলক্ষে বিশেষভাবে প্রস্তুত রুটি, ফল, কাবাব ও বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী কোমল পানীয়।

নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে ইফতার পাঠানো হতো। অনেক সময় দেখা যেত প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের বাড়ি থেকে পাঠানো ইফতারের আধিক্যে নিজ বাড়িতে রান্না ইফতার খাওয়ার সুযোগই মিলছে না।

কিন্তু বর্তমানের চিত্র অনেক ভিন্ন। চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে ইতোমধ্যে মারা গেছেন অসংখ্য মানুষ। অনেক মানুষ হয়েছেন গৃহহীন, হারিয়েছেন পরিবার। তবে একসঙ্গে ইফতার করার প্রথাটি হারিয়ে যায়নি।

রমজান মাসে সিরিয় রোজাদারদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করে বিভিন্ন দাতব্য সংগঠন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপের পাশে বসেই ইফতার করছেন সিরিয়ার রোজাদাররা। দেশটির বিরুদ্ধে আমেরিকা-ইসরাইল-আরবদের আগ্রাসন দ্রুত বন্ধ হবে এই প্রত্যাশা সিরিয়ার প্রতিটি শান্তিকামী মানুষের।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৬