এবার লিবিয়ার তেল সম্পদে মনোনিবেশ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i69712-এবার_লিবিয়ার_তেল_সম্পদে_মনোনিবেশ_করলেন_ডোনাল্ড_ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি অভিমুখী বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল খলিফা হাফতারের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছেন। তিনি গত সোমবার সরাসরি হাফতারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে তার প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন বলে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
এপ্রিল ২০, ২০১৯ ১২:৩৩ Asia/Dhaka
  • এবার লিবিয়ার তেল সম্পদে মনোনিবেশ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি অভিমুখী বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল খলিফা হাফতারের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছেন। তিনি গত সোমবার সরাসরি হাফতারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে তার প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন বলে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে।

টেলিফোনালাপে ট্রাম্প ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ হাফতারের প্রতি সমর্থন জানান এবং  বলেন, লিবিয়ার তেল সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য হাফতার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তা তার ভালো লেগেছে। এ সময় ট্রাম্প ও হাফতার লিবিয়ার ভবিষ্যত নিয়েও আলোচনা করেন বলে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সমাজের স্বীকৃত একটি সরকার লিবিয়ার রাজধানী নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু সেই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ত্রিপোলি দখলের চেষ্টা করছে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হাফতার বাহিনী। গত তিন সপ্তাহের এ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প- খলিফা হাফতার

হাফতারের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপ থেকে পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার ইউরোপীয় মিত্রদের বিপক্ষে গিয়ে লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ ছাড়া, তিনি লিবিয়াকে হাফতারের হাতে ছেড়ে দিয়ে দেশটির তেল সম্পদের ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চান।

লিবিয়ার চলমান সংঘর্ষ বন্ধ করার লক্ষ্যে সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে আনা একটি প্রস্তাবের খসড়া নাকচ করে দিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়া। ওই খসড়ায় জেনারেল হাফতারকে লিবিয়ার চলমান সংঘর্ষের জন্য দায়ী করার কারণে রাশিয়া এর বিরোধিতা করে। তবে আমেরিকা তার বিরোধিতার কোনো কারণ জানায়নি।

গতকাল (শুক্রবার) রাজধানী ত্রিপোলিতে হাজার হাজার মানুষ খলিফা হাফতারকে প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল করেন

জেনারেল হাফতারের প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর প্রকাশ্যে সমর্থন ঘোষণা করেছে এবং হাফতার ত্রিপোলি অভিমুখে অভিযান শুরু করার কয়েকদিন আগে সৌদি আরব সফর করেছেন। ত্রিপোলিতে ক্ষমতাসীন সরকার ফ্রান্সকে জেনারেল হাফতারের প্রতি সমর্থন জানানোর দায়ে অভিযুক্ত করলেও প্যারিস এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। লিবিয়ায় সাবেক উপনিবেশ স্থাপনকারী ইতালি সরকার ত্রিপোলিতে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, জেনারেল হাফতারের ত্রিপোলিমুখী অভিযানের কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে না।

জেনারেল খলিফা হাফতার লিবিয়ার একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা যিনি দেশটির সাবেক একনায়ক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির ক্ষমতা সুসংহত করার কাজে সহযোগিতা করেছিলেন। কিন্তু গাদ্দাফির সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরে ১৯৬৯ সালে তিনি আমেরিকায় স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। ২০১১ সালে সশস্ত্র গণঅভ্যুত্থানে গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর হাফতার দেশে ফিরে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কমান্ডারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ত্রিপোলি সরকার তাকে দেশের সেনাপ্রধানও নিযুক্ত করে। কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্যের জের ধরে তিনি আবার ত্রিপোলি সরকারের বিপক্ষে চলে যান।#

পার্সটুডে/মো. মুজাহিদুল ইসলাম/২০