ইহুদিবাদীদের হাতে মুসলিম স্থাপনার অবমাননার তীব্র নিন্দা জানাল হামাস
(last modified Mon, 25 Nov 2019 01:19:43 GMT )
নভেম্বর ২৫, ২০১৯ ০৭:১৯ Asia/Dhaka
  • ইব্রাহিমি মসজিদের অভ্যন্তরীণ দৃশ্য। এখানেই আল্লাহর তিন নবীর মাজার রয়েছে বলে মনে করা হয়
    ইব্রাহিমি মসজিদের অভ্যন্তরীণ দৃশ্য। এখানেই আল্লাহর তিন নবীর মাজার রয়েছে বলে মনে করা হয়

ইহুদিবাদীদের হাতে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত মুসলিম স্থাপনাগুলোর অবমাননার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, ইহুদিবাদীরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ঐতিহাসিক বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম) নগরীতে অবস্থিত মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলা আল-আকসা মসজিদসহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী মুসলিম স্থাপনার অবমাননা করছে।

হামাসের মুখপাত্র ফৌজি বারহুম গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে ওই নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ইসরাইল সরকার ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের পবিত্র স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে যে ধর্মীয় যুদ্ধ শুরু করেছে তারই অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীরা মুসলমানদের মসজিদগুলোতে অনুপ্রবেশ করে এগুলোর পবিত্রতা নষ্ট করছে।

ইহুদিবাদীরা আল-আকসা মসজিদের পাশাপাশি পশ্চিম তীরের আল-খলিল (হেবরন) শহরের ইব্রাহিমি মসজিদেরও অবমাননা করে যাচ্ছে। এই মসজিদ কমপ্লেক্সে আল্লাহর নবী হযরত ইব্রাহিম (আ.), তাঁর সন্তান হযরত ইসহাক (আ.) ও তাঁর সন্তান হযরত ইয়াকুব (আ.)’র মাজার রয়েছে বলে মনে করা হয়। ইহুদিবাদীরা এই মসজিদ কমপ্লেক্সকে তাদেরও পবিত্র স্থান বলে দাবি করে। ১৯৯৪ সালে এই মসজিদে একজন উগ্র ইহুদিবাদীর হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর কমপ্লেক্সটিকে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য দুই ভাগে ভাগ করে দেয়া হয়।অথচ ইসরাইলি সেনারা প্রায়ই মসজিদটিতে মুসলিম মুসল্লিদের প্রবেশে বাধা দিয়ে গোটা মসজিদকে ইহুদিবাদীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।

অন্যদিকে দখলদার ইসরাইল সরকার ১৯৬৭ সালে বায়তুল মুকাদ্দাস নগরী দখল করে। সে সময় জর্দান সরকারের সঙ্গে ইসরাইলের যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তাতে স্পষ্টভাবে লেখা আছে, নগরীর আল-আকসা মসজিদে কোনো অমুসলিম প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু উগ্র ইহুদিবাদীরা প্রায়ই উসকানি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ইসরাইলি সেনাদের সহযোগিতায় এই মসজিদে অনুপ্রবেশ করে মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলার অবমাননা করছে।#পার্সটুডে/এমএমআই/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ