আরো ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিবাদ বিক্ষোভ
কানাডায় পুলিশের ধরপাকড় গ্রেফতার অভিযান জোরদার
কানাডায় করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ বাধ্যতামুলক করার বিরুদ্ধে ট্রাক চালকদের আন্দোলন আরো ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে এই আন্দোলন টরেন্টো, এডমন্টন, হ্যালিফ্যাক্স এবং ভ্যানকুভারের মতো শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলন দমনের জন্য এবং বহু লোককে আটক করা হয়েছে।
আন্দোলন দমন করতে পুলিশ ধরপাকড় ও গ্রেফতার অভিযান জোরদার করেছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানী অটোয়া থেকে কয়েক হাজার লিটার জ্বালানি তেল আটক করেছে পুলিশ।
কথিত 'ফ্রিডম কনভয়' আন্দোলনে দেশটির ট্রাক চালক এবং অন্য গাড়িচালকরা গত ১১ দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গাড়ি দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে রেখেছে। এর ফলে রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
আন্তঃসীমান্ত ট্রাক চালকদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক করার পর ট্রাক চালকরা ফ্রিডম কনভয় আন্দোলন শুরু করে। এরইমধ্যে আন্দোলন দমন করার উদ্দেশ্যে রাজধানী অটোয়ায় রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে করা হয়েছে এবং শহরের মেয়র জেমস ওয়াটসন অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন যে, বিক্ষোভকারীদের কবল থেকে রাজধানীকে উদ্ধার করা হবে।
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর প্রায় এক সপ্তাহ লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে সুস্থ হয়ে তিনি গতকাল জনসমক্ষে আসেন এবং তিনি এই আন্দোলন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফ্রিডম কনভয় আন্দোলন শুরুর পর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এবং তার পরিবার রাজধানী অটোয়া থেকে অজ্ঞাত স্থানে চলে গিয়েছিলেন।
কানাডা সরকার সম্প্রতি আইন জারি করেছে যে, সীমান্ত এলাকা দিয়ে যে সমস্ত ট্রাক চালক কানাডায় প্রবেশ করবে তাদের পরিপূর্ণভাবে টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট থাকতে হবে, তা না হলে তাদেরকে করোনা পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে এবং কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছেন ট্রাক চালকেরা। এই আন্দোলনের সঙ্গে সমাজের অন্যান্য লোকজন যুক্ত হয়েছেন এবং তারা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার, লকডাউন, সভা-সমাবেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং করোনাভাইরাসের অন্যান্য প্রতিরোধমূলক প্রচেষ্টার বিরোধিতা করছেন।#
পার্সটুডে/এসআইবি/৮