‘অর্থ চুরি’ আমেরিকার সর্বনিম্ন নৈতিক অবক্ষয়ের প্রমাণ: তালেবান
https://parstoday.ir/bn/news/world-i103718-অর্থ_চুরি’_আমেরিকার_সর্বনিম্ন_নৈতিক_অবক্ষয়ের_প্রমাণ_তালেবান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তানের সম্পদ জব্দ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে ‘চুরি’ এবং ‘নৈতিক অবক্ষয়’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তালেবান সরকার। জাতিসংঘে তালেবানের পক্ষ থেকে নিয়োগের জন্য আফগান প্রার্থী সুহাইল শাহিন আমেরিকায় থাকা ওই পুরো অর্থ আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিলে জমা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
(last modified 2025-10-27T13:35:51+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ ১০:৫০ Asia/Dhaka
  • তালেবান নেতা সুহাইল শাহিন
    তালেবান নেতা সুহাইল শাহিন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তানের সম্পদ জব্দ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে ‘চুরি’ এবং ‘নৈতিক অবক্ষয়’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তালেবান সরকার। জাতিসংঘে তালেবানের পক্ষ থেকে নিয়োগের জন্য আফগান প্রার্থী সুহাইল শাহিন আমেরিকায় থাকা ওই পুরো অর্থ আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিলে জমা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শাহিন বলেন, “ওই অর্থ আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এবং প্রকারান্তরে আফগান জনগণের সম্পদ। আমরা ওই সমুদয় অর্থ ছাড় দিয়ে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে জমা দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।” 

তালেবানের দোহা দপ্তরের মুখপাত্র শাহিন এক টুইটার বার্তায় আরো বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আফগান জনগণের অর্থ চুরি ও হাতিয়ে নেয়া একটি দেশ ও জাতির [আমেরিকার] সর্বনিম্ন স্তরের মানবিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের প্রমাণ।” 

এর আগে শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আফগান জনগণের ওই অর্থ আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের পতনের পর নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে জমা থাকা ওই অর্থ আটকে দেয়া হয়েছিল। 

গত বছরের ১৫ আগস্ট মার্কিন-সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে রাজধানী কাবুল দখল করে তালেবান। ওই মাসেই আফগানিস্তানের ওপর দীর্ঘ ২০ বছরের দখলদারিত্বরের অবসান ঘটিয়ে দেশটি ছেড়ে চলে যায় মার্কিন সেনারা। এরপর কাবুলে সরকার গঠন করে তালেবান।  আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখলেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। 

কাবুলের পতনের পর শুধু আমেরিকাই আফগান জনগণের অর্থ আটক করেনি; সেইসঙ্গে আমেরিকার ইশারায় বিভিন্ন সংস্থা আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সহায়তাও স্থগিত করে। এর মধ্যেই দেশটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র খরা এবং চরম আর্থিক সংকটে রয়েছেন আফগান নাগরিকরা। গত মাসে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৯৫ শতাংশ আফগানের খাওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য নেই।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১২