মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্য
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধের কথা ভাবছে আমেরিকা-ইউরোপ
-
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন
ইউক্রেনের ওপর সামরিক অভিযানের কারণে মস্কোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে।
গতকাল (রোববার) মার্কিন এনবিসি টেলিভিশন চ্যানেলের ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আমরা এখন ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে খুবই সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছি।” ব্লিনকিং বলেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করা হলে পশ্চিমা মিত্রদেরকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করতে হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরুর করলে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় মিত্ররা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে মস্কোর ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ১২০ ডলারে পৌঁছেছে। রাশিয়ার তেল শোধনাগারগুলোতে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে, পাশাপাশি নর্ড স্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। রাশিয়া থেকে এই পাইপলাইনের মাধ্যমে জার্মানিতে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করার কথা তবে এখনো পাইপলাইনটি চালু হয় নি। মার্কিন চাপের মুখে জার্মানি এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়াকে সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, "অপরিশোধিত তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যাপারে ইউরোপ রাশিয়ার ওপর নির্ভর করে তবে রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করার ধারণাটি গত ২৪ ঘন্টায় অনেক বেশি প্রকাশ্য রূপ লাভ করেছে।”
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেন। তিনি দাবি করেন, পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস এলাকার রুশ বংশোদ্ভূত লোকজনের ওপর গণহত্যা বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে অভিযান শুরু হয়েছে। পুতিন বলেন, দোনবাস এলাকার জনগণ গত আট বছর ধরে চরম দুর্ভোগ এবং গণহত্যার শিকার।#
পার্সুটডে/এসআইবি/৭