কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ব্যাপারে ব্রিটেনকে সতর্ক করল রাশিয়া
(last modified Mon, 04 Jul 2022 04:23:14 GMT )
জুলাই ০৪, ২০২২ ১০:২৩ Asia/Dhaka
  • ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার পর কৃষ্ণসাগরে নৌ উপস্থিতি বাড়িয়েছে রাশিয়া
    ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার পর কৃষ্ণসাগরে নৌ উপস্থিতি বাড়িয়েছে রাশিয়া

ইউক্রেন সংকটের অজুহাতে কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ব্যাপারে ব্রিটেনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, কোনো অজুহাতেই কৃষ্ণসাগরে নতুন কোনো যুদ্ধজাহাজের অনুপ্রবেশ ঘটানো যাবে না। রুশ বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক এ খবর জানিয়েছে।

ল্যাভরভ রোববার লন্ডনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ব্রিটেন বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের ঘাটতি এবং ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ থাকার অজুহাতে ব্রিটেন কৃষ্ণসাগরে নিজের যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করাতে চায়। তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকার এ কাজ থেকে বিরত থাকলে ভালো হবে।

ল্যাভরভ এমন সময় এ হুঁশিয়ারি দিলেন যখন গত বছর জুন মাসে কৃষ্ণসাগরে একটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে সতর্কতামূলক গুলি ছুড়েছিল রাশিয়া।  রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছিল, ‘এইচএমএস ডিফেন্ডার’ জাহাজটি ক্রিমিয়ার কাছকাছি রুশ পানিসীমায় প্রবেশ করে। এ সময় টহলরত রুশ জাহাজ থেকে সতর্কতামূলক গুলি চালানো হয়। এতে পিছু হটে যায় ব্রিটিশ জাহাজটি।  কিন্তু ব্রিটিশ প্রতিক্ষামন্ত্রী সে সময় দাবি করেন, ডিফেন্ডারের ওপর কোনো ধরনের সতর্কতামূলক গুলি চালানো হয়নি বরং জাহাজটি ইউক্রেনের জলসীমায় ছিল।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ

এদিকে রাশিয়া সম্প্রতি ঘোষণা করেছিল, ইউক্রেনের খাদ্যশস্য বহির্বিশ্বে পাঠানোর সমুদ্রপথের নিরাপত্তা দিতে রাজি আছে মস্কো। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতমাসে বলেছিলেন, ইউক্রেন যদি তার বন্দরগুলোর মাইন অপসারণ করে এবং মারিয়াপোল ও বোরদিয়ানস্কের মতো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা বন্দরগুলো দিয়ে নিজের খাদ্যশস্য রপ্তানি করতে চায় তাহলে সে ব্যবস্থা করে দেবে মস্কো।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ইউক্রেন মাসে প্রায় ৬০ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করত। তবে ফেব্রুয়ারির শেষদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মার্চ মাসে মাত্র তিন লাখ টন শস্য রপ্তানি করে দেশটি যদি পরের মাসে তা বেড়ে ১০ লাখ টনে উন্নীত হয়। জুন মাসে ইউক্রেন তার খাদ্যশস্য রপ্তানিকে তার আগের বছরের অর্ধেক পরিমাণে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। #

পার্সটুডে/এমএমআই/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।