শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতি:
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবন দখল করলো বিক্ষোভকারীরা
শ্রীলঙ্কায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দখল করেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রম সিংকে অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দখল করে।
আজই শ্রীলঙ্কার সংসদ প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রম সিংকে "অন্তবর্তী রাষ্ট্রপতি" হিসেবে নিয়োগ দেয়। ওই নিয়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা রনিল বিক্রম সিং-এর পদত্যাগের দাবি তোলে। বিক্রম সিং শ্রীলঙ্কার জনগণের কাছে জনপ্রিয় নন। লোকেরা বিশ্বাস করে- তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পরিবারের সাথে সম্পর্কিত সকল সমস্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আজ সপরিবার মালদ্বীপে পালিয়ে যাওয়া গোটাবায়া ও তার পরিবারের সকল অপকর্মের সহযোগী ছিলেন রনিল বিক্রম সিং। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের সকল অযোগ্যতাকেও সমর্থন দিয়েছেন তিনি।
বিক্ষোভকারীরা বিক্রম সিং-এর পদত্যাগ দাবি করে বলেছে: তিনি যদি পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তবে বর্তমান পরিস্থিতির কোনোরকম পরিবর্তন হবে না। তাদের বিগত দিনের সকল প্রতিবাদও অর্থহীন হয়ে যাবে।
এদিকে, একটি সামরিক জেটে রাষ্ট্রপতি সস্ত্রীক মালদ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
শনিবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী কলম্বোতে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে হামলা চালানো এবং প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দুই কোটি দুই লাখেরও বেশি জনসংখ্যার দেশ শ্রীলঙ্কা সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। বিগত ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ব্যাপক বিক্ষোভ করে।
শ্রীলঙ্কা সরকার সম্প্রতি জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখা দেয়। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর জন্য জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। স্কুলগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেসামরিক কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।#
পার্সটুডে/এনএম/১৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।